কৌতুকের ঝাঁপি
রাস্তায় এক পথচারী এক পটেকমারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তুমি লোকটার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছিলে কেন?
পকেটমার : জি, হিমেল হাওয়ার স্পর্শে হাত ঠাÐা হয়ে যাচ্ছিল। আমার প্যান্টের তো পকেট ছিল না, তাই হাতটা একটু গরম করার জন্য ভদ্রলোকের পকেটে ঢুকাচ্ছিলাম।
শিক্ষক ছাত্রদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্পর্কে বোঝাচ্ছিলেন।
অনেকবার বোঝানোর পর শিক্ষক বললেন, ছোটন বল তো আম পাকলে আকাশের দিকে না উঠে মাটিতে পড়ে কেন?
ছোটন: স্যার আকাশে তো খাওয়ার কেউ নেই, তাই!
ষ গ্রন্থনা : আলীশা
বিদ্রোহী নজরুল
বাতেন বাহার
বর্ধমানের আসানসোলে চুড়–লিয়া গ্রাম
সেই গ্রামের কিশোর কবি ‘দুখু মিয়া’ নাম।
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া হয়নিরে যার খুব
তবুও তার মনটা ছিল সত্যি অপরূপ।
যে মক্তবের ছাত্র কবি, গুরু ছিলেন তার
গান রচনায়-সুর সাধনায়-কণ্ঠ চমৎকার।
মিষ্টি সুরে আজান দিতেন, কণ্ঠে কোরান প্রিয়
কম বয়সে সমাজ সেবায়, দৃষ্টি বরণীয়।
পাখির মতো স্বভাব ছিল, ক্ষুব্ধ মনোভাব
সাম্যবাদে উজ্জীবিত-দূরন্ত স্বভাব!
সুরের কবি ভাবের কবি বিদ্রোহে অসীম
রণাঙ্গনের বীর সিপাহী কখনো বা ভীম!
‘বিষের বাঁশি’ ‘অগ্নিবীণা’য় বিদ্রোহী যে কবি
ইসলামী ও শ্যাম গীতিতে অপক্ষপাত ছবি!
সপ্তাকাশ, মাটির তলা হাতের মুঠোয় যার
শিকল ছেঁড়ার অভিযানে-অসীম শক্তি তার।
উত্তরণে বিদ্রোহী মনÑ প্রেম পিয়াসী শেষে
আসল কথা বলার আগে স্তব্ধ হলেন হেসে!
গানের কবি স্বাধীন কবি সূর্যমুখী ফুল
স্বাধীনতার অগ্রপথিক বিদ্রোহী নজরুল
খালেক বিন জয়েন উদ্দীনের ছড়া
জোছনাপরী
আকাশপাড়ে তার বসতি মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
পুবাল হাওয়া উড়াল দিয়ে নীলের ছবি আঁকে।
দলছাড়া সেই একলা পরী জোছনা শুধু সাথী
পানসুপারি পানের বাটা পায় না খুঁজে যাঁতি।
রাক করে সে আকাশ ছেড়ে মর্ত্যে যখন এলো
খই ফুটিয়ে জোছনা-আলো বইছে এলোমেলো।
বকুল বনে থামল পরী বন্ধ জরির ডানা-
খুশির চোটে জুড়ল নাচ কেউ করে না মানা।
আমরা ছিলাম গভীর ঘুমে শান্ত ছিল পাড়া
এমন কাÐ কেউ দেখেনি, পান্নুমনি ছাড়া
জোছনা যখন হচ্ছে লীন মোরগ ডাকার ক্ষণে
জোছনাপরী উধাও হলো সেই না বকুল বনে।
মেঘের দেশে মেঘপরীরা
আকাশ জুড়ে মেঘমেঘালি রৌদ্র করে খেলা
মেঘপরীরা তার আড়ালে কাটায় দুপুর বেলা।
শুভ্র মেঘের ঠাসাঠাসি কৃষ্ণ মেঘের আড়ি
বাতাসমামা দেয় না উড়াল যায় না তারা বাড়ি।
মেঘের আড়ি মেঘের বাড়ি মেঘমুলুকের দেশে
বরফকণা চুমকুড়ি খায় মেঘপরীদের কেশে।
‘শ্রাবণ মেঘের আধেক দুয়ার’ দূর আকাশে খোলা
বর্ষা-গানে টইটম্বুর নবীন মেঘের ঝোলা।
ইন্দিরাকে লিখছে চিঠি শিলাইদহের রবি
কদম-কেয়া দুলছে শাখায় শ্যাম-বাংলার ছবি।
বাদলারানীর তিন কন্যে মেঘের পরী তারা
মুক্তকেশে আঁচল উড়ায় নৃত্যে পাগলপারা।
‘ মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে’
পরান আমার নদীর জলে একলা কেবল ভাসে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন