শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বগুড়ার আদমদীঘিতে আলুর পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছে স্থানীয় কৃষকরা। এবার আলু চাষ কমেছে এলাকায়। কৃষকরা চলতি মৌসুমে আলু ও সরিষা চাষের পর এখন পরিচর্যা করছেন। এলকায় চারদিক শুধু আলু ও সরিষা গাছের সবুজের সমাহরো। রোপা আমন মৌসুমে কৃষকরা ধানের ন্যয্যমূল্যে না পেয়ে আগাম রোপা আমন কর্তন করে লাভের আশায় রবি শস্য ফসলের দিকে ঝুকে পরে। উপজেলার ১টি পৌরসভা ৬টি ইউনিয়নে অন্যন্যে বছরের চেয়ে এবার কম হয়েছে আলু ও সরিষা চায়। যেসব জমিতে আলু সরিষা চাষ করা হয়েছে সেসব জমিতে সময় মত সেচ সার ওষধ প্রয়োগ করাসহ আলু সরিষার পরিচর্যার কাজে এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। শীত মৌসুমের প্রথমদিকে আবহাওয়া পরোপুরি অনুকুলে থাকায় আলু ও সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেছিল এলাকার কৃষকরা। কিন্ত ডিসেম্বর মাসের শেষদিক থেকে লাগাতার শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় আলুর গাছে পাতায় মড়ক ধরেছে। ফলে আলুর ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় আলু চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের রোপন করা আলু তুলে বেশী দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে অনেক কৃষক।
স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার এই উপজেলায় ২৫ শো হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হলেও প্রায় ১৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৯ হেক্টর জমিতে কম হচ্ছে আলু চাষ। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওযায় বাজারে এর প্রভাব পরবে বলে জানিয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও অল্প সময়ে লাভজনক ফসল সরিষা চাষ করা হয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে। যা প্রায় গত বছরের মতো। এর মধ্যে সান্তাহার পৌরসভা, আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন, নশরৎপুর ইউনিয়ন, সান্তাহার ইউনিয়ন, কুন্দুগ্রাম ইউনিয়ন চাপাপুর ইউনিয়ন, ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে এই আলু ও সরিষার চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। আলুও সরিষার চাষ গাছের পাতার মড়কও ফলন বিপর্য়য়ের বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, লাগাতার শৈত্যপ্রবাহ ঘন কুয়াশায় দু’এক জায়গা থেকে আলুর গাছে মরে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আলুর গাছের মড়ক ঠেকাতে কৃষকদের ঔষধ প্রয়োগ করা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে তাপমাত্রা বেড়েছে আর শেত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশা না হলে আলু সরিষাসহ সবজির ক্ষতি হবে না এবং ফলনও ভালো হওয়ার আশা করা যায়। আলু চাষ কম হওয়া ব্যাপারে তিনি বলেন, উচু জমিতে আলু চাষ হয়। আর উচু জমিতে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠছে। এতে কমছে আলু চাষসহ আবাদি জমি। ফলে আগামীতে আরোও কমতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন