চরফ্যাশন উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় দ্বীপের নাম চর কুকরি মুকরিতে যাতায়াতের জন্যে আধুনিক মানের ১০ নৌযান বিতরণ করা হয়েছে।
গত শনিবার বিকালে এ নৌযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ (প্রাক্তন সিনিয়র সচিব) এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন, এফডিএ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন এবং চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন।
বক্তরা বলেন, উপকূলীয় জেলা ভোলা থেকে চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন জনপদ একটি ইউনিয়ন হল চর কুকরি মুকরি। দ্বীপের পূর্বদিকে প্রমত্তা মেঘনা ও শাহাবাজপুর চ্যানেল।
দক্ষিণান্তে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বুড়াগৌড়াঙ্গ এবং মেঘনার মিলনস্থল। একদিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ, বৈরী বাতাস, চিরসবুজ গাছ-গাছালি, মন ভুলানো সমুদ্র সৈকত, মায়াবী হরিণের দল আর অসংখ্য নাম না জানা পাখ-পাখালি বিস্তৃত সবুজ বনাঞ্চল এই দ্বীপটিকে ভ্রমণ বিলাসীদের তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে। কুকরি মুকরির ৯০% মানুষের পেশা মৎস্য আহরণ। কিন্তু বছরের প্রায় ৫ মাস তারা কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে না। যদি চর কুকরি মুকরির নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে উপস্থাপনের জন্য কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে উক্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত্তিটা শক্ত হতে পারে। পিকেএসএফ ও ইফাদের অর্থায়নে এসব অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিনোদনের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি, পর্যটন আকর্ষণের বহুমাত্রিকতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা বিধান, পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশন সৃষ্টি, বাজার সংযোগ এবং সেবা প্রদানকারীদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কার্যক্রম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন