শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

দর্শনার্থী সঙ্কটে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত

মোক্তার হোসেন মোল্লা, সোনারগাঁও থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

দর্শনার্থী নেই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের লোকজ মেলায়। ফলে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা, সংরক্ষণ ও বিপণনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে গত ১৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া মাসব্যাপী লোকজ মেলায় আসা ব্যবসায়ীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরার অবস্থা। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতবারের তুলনায় মেলার সময়ে কমে আনা, সময়মত মেলায় মালামাল প্রবেশ করতে না দেয়া, নোংরা পরিবেশসহ বেশ কিছু অভিযোগের কথা। তাদের দাবি, ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিকে এসকল অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার জানালেও কোন কাজ হয়নি।
সরেজমিনে মেলায় গেলে প্রবেশদ্বারের সামনে দাড়িয়ে থাকা মদনপুর এলাকা থেকে স্ত্রী, শিশু পুত্র ও শালিকা নিয়ে আসা আব্দুল বাতেন জানান, গতবার মেলায় এসেছি জন প্রতি ৩০ টাকা দিয়ে প্রবেশ করেছি। এবার দেখি প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আবার ভেতরে না-কি আবার একশত টাকা দিয়ে আরও একটি টিকিট কিনতে হবে। আমি যে টাকা নিয়ে এসেছি ভেতরে যেতে পারলেও কিছু দেখতে বা কিনতেও পারবনা। আর যদি কিছু দেখতেই না-পারি তাহলে ভেতরে গিয়ে কি লাভ। তাই চিন্তা করছি কি করব। তাই সবার মন একটু খারাপ।
সজিব নামে এক সানগ্লাস ব্যবসায়ী (স্টল নাম্বার ৩৪ ও ৩৫) ইনকিলাবকে বলেন, আমরা গত বছর ১১৫ টাকা দিয়ে যে ফরম কিনেছি এবার সেই ফরম কিনতে হয়েছে ২৩০ টাকায়। আর ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দোকান নিয়েছি। এবার ২০ হাজার টাকা দিয়ে নিতে হয়েছে। তাছাড়া, মেলায় যে সব মাল বিক্রি করব সে সকল মালও গতবার প্রয়োজনমতো যখন-তখন মেলায় প্রবেশ করতে পারতাম যা এবার সম্ভব নয়। তাছাড়া, গত বছরের চেয়ে টিকিটের দাম জনপ্রতি ২০ টাকা বেশি। ফলে দর্শনার্থীও তেমন নেই। ৪, ৫ ও ৬ নাম্বার স্টলে কসমেটিকস বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, এসব মেলায় দর্শনার্থী আসে মূলত সন্ধ্যার পর। রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বেচা-কেনা শুরু হয়, যা চলে রাত ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। অথচ, এবারই প্রথম রাত ৮টার মধ্যে বাঁশি ফুকিয়ে সকল দর্শনার্থীদের মেলা থেকে বের করে দেয় ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। মেলার বাকি আছে আর মাত্র ৯ দিন। এখন পর্যন্ত দোকান খরচ (কর্মচারী, খাবারসহ অন্যান্য) দিয়ে জামানতের ২০ হাজার টাকাই উঠবে কি-না সে চিন্তায় আছি। এভাবে চললে আগামী বছর এ মেলায় আসব কি-না ভাবতে হবে।
এ বিষয়ে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহম্মদ উল্লাহ প্রবেশের ২০ টাকা ও ভিতরে বড়সর্দার বাড়িতে প্রবেশের জন্য একশত টাকা বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এইটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেকই নেয়া হচ্ছে। আর রাত ৮টার মধ্যে সকল দর্শনার্থীদের বের করে দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। তবে, এবার গত সব সময়ের চেয়ে অনেক বেশি লোকসমাগম হয়েছে বলে দাবি করেন লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহম্মদ উল্লাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন