শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাঁশ-ককসিটের শহীদ মিনারে শিশুদের শ্রদ্ধা শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে সঠিক ইতিহাস থেকে

ইসমাইল খন্দকার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৩ এএম

ফেব্রুয়ারি মাস এলেই যেন শহীদ মিনারগুলোর কদর বেড়ে যায়। বিশেষ করে একুশে ফেব্রুয়ারি এলে শুরু হয় ধোঁয়া মোছার কাজ। বাকি মাসগুলো চরম অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে নির্মিত শহীদ মিনারগুলো। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ১২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ৩৫টিতে। বাকি ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা বাঁশ ও ককসিটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের শহীদদের প্রতি শ্রুদ্ধা নিবেদন করে আসছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সিরাজদিখান উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাচ্ছে না কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আসলে তারা বাঁশের কঞ্চি কিংবা কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করে।
একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন বলেন, বেশিরভাগ স্কুলগুলোতেই শহীদ মিনার নেই আবার যে সকল স্কুলে শহীদ মিনার আছে সেটাও নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণে শহীদ মিনার স্তম্ভ ধুলা পড়ে অপরিস্কার হয়ে থাকে। তাই ২১ ফেব্রুয়ারি কয়েকদিন আগেই শহীদ মিনার ধুয়েমুছে পরিস্কার করা হয়। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি করে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হোক।
৭৬ নং রাজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শহনাজ আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের প্রকৃত অনুভূতিটা পায় না। আমরা প্রতিবছর বিদ্যালয়ে কলাগাছ আথবা বেঞ্চ দিয়ে মিনারের মূর্তি তৈরি করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, শহীদ মিনার তৈরির জন্য আমরা সব সময় স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করে আসছি। বর্তমানে স্থানীয়দের সহযোগীতায় অনেক শহীদ মিনার হচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে শহীদ মিনার হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন