যশোরে চামড়া বাজারের হাহাকার এখনো কাটেনি। চামড়া বাজারে ধস নামার কারণে সংশ্লিষ্টরা বিপাকে পড়েছেন। এবারের ঈদে বাড়ি বাড়ি চামড়া ক্রেতাদের ‘চামড়া দেবে গো চামড়া’- হাকডাক শোনা যায়নি। কোরবানির গরু ও ছাগলের চামড়া পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত ক্ষুদে ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কোরবানির দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেন। এবার ঘটেছে উল্টোটা।
চামড়া নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েন লোকজন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এতিম মিসকিন ও মাদরাসা। যশোর অঞ্চলের চামড়া নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে পারেননি ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। ধারদেনা করে কেনা চামড়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। চামড়ার মূল্য একেবারে কমে যাওয়ায় ভারতে পাচারের শঙ্কা এখনো কাটেনি। এজন্য যশোর বিজিবি ঈদের দিন থেকে সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে। যশোর বিজিবির কমান্ডিং অফিসার কর্ণেল সেলিম রেজা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ভারতে চামড়া পাচাররোধে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যশোর থেকে চামড়া কোন গাড়ি বেনাপোলসহ সীমান্তমুখী যেতে দেয়া হচ্ছে না।
ঢাকার পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার দু’দিন হাট বসে। যশোর ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো থেকে ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে হাজির হন এ হাটে। দুই শতাধিক আড়ত রয়েছে এ মোকামে। প্রতি কোরবানীর ঈদে রাজারহাটে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার চামড়া বেচাকেনা হয়ে থাকে। ঈদের পর মঙ্গলবার প্রথম হাটে চামড়া বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে। চামড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন মুকুল জানান, চামড়ার দাম এবার একেবারেই কম। তাছাড়া ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের মন ভালো নেই। তারা ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করতে পারেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন