শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে সীমিত ফেরি চলাচল

ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

 শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচলের কারণে প্রতিদিন ঘাট এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে আটকে থাকছে যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এই পথে যাতায়াতকারী দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের। রাজধানী ঢাকা সাথে যোগাযোগে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে, কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে তা বলতে পারছেন না ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক যাত্রীদের।
স্থানীয়রা জানান, আগে এ রুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারে মারাত্মক বেগ পেতে হতো। এখন সেখানে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি সঙ্কটের কারণে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। যাত্রীরা বলেন, ঘাটে ২টার সময় এসেও ফেরিতে পার হওয়া যাচ্ছে না, লাইনে থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ৪টার পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়, তখন ফেরি না পেয়ে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটে প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস পিকআপ ভ্যানের দীর্ঘ লাইন। পার্কিংয়ে অন্তত ২ শতাধিক গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে। ফেরি ঘাটে ভিড়লেই গাড়ি ওঠার প্রতিযোগিতা শুরু হতে দেখা যায়।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া বলেন, ফেরিতে বড় গাড়ি পারাপার না করায় ছোট পিকআপ দিয়ে মালামাল নিতে হচ্ছে। এতে পরিবহন ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। ব্যবসা যা হচ্ছে সবটুকুই ছোট গাড়ি দিয়ে পরিবহন করার কারণে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাগামী যাত্রী সুমন সরদার বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে শত শত যানবাহন। এখানেও দেখছি একই দৃশ্য। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফেরি পার হলাম। ফেরি ঘাটে ভিড়লেই গাড়ি ওঠার প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। যাত্রী শিউলি বেগম বলেন, গত ৩ ঘণ্টা ধরে ঘাটে বসে আছি। ফেরিতে উঠতে অন্তত আরও এক ঘণ্টা সময় লাগবে। ফেরি সঙ্কটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। এই দুর্ভোগের অবসান হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডবিøউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শাফায়াত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, দীর্ঘ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর বিআইডবিøউটিসি, বিআইডবিøউটিএ, সেনাবাহিনী ও পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের যৌথ আলোচনায় ফেরি চলাচল করার নির্দেশ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা কিংবা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। ৪টি মিডিয়াম কে-টাইপ ফেরিতে সীমিত সংখ্যক যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু করার নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা ফেরি সচল রেখেছি। সে সাথে যাত্রীদের বিকল্প রুট ব্যবহারের জন্য সব সময় মাইকিং করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রচÐ স্রোতে পদ্মা সেতুর পিলারে বার বার ধাক্কার ঘটনায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল বিআইডবিøউটিসি। দীর্ঘ ৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর সীমিতভাবে ফেরি সচল থাকলেও মাত্র ৭ দিন পর একই কারণে ১১ অক্টোবর আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডবিøউটিসি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন