নানা নাটকীয় ঘটনার পর নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করেছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ঘটিত আপিল বোর্ড। অনিয়মের অভিযোগে জায়েদ খান ও আরেক প্রার্থী চুন্নুর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম। এ ব্যাপারে জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, এটা অন্যায় ও আইন বর্হিভূতভাবে করা হয়েছে। কারণ, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের কার্যক্রম শেষ হয় এবং তা বিলুপ্ত হয়। এ সময়ের মধ্যে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা আপিল বোর্ড নিষ্পত্তি করে। নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট পুনঃগণনা চেয়ে আপিল করে এবং আপিল বোর্ড ভোট গণনা করে একই ফলাফল পায় ও আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর পর আপিল বোর্ড ও নির্বাচন কমিশন অটোমেটিক বিলুপ্ত হয়ে যায়। নিপূণ ৩০ জানুয়ারির পর পুনরায় আবেদন করে এবং আপিল বোর্ড তা গ্রহণ করে, যা একেবারে নিয়ম বর্হিভূত। অস্তিত্বহীন আপিল বোর্ড কি করে আমার প্রার্থীতা বাতিল করে? এটা জবরদস্তিমূলক ঘটনা। আমি এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেব। নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ড কবে গঠিত হয় এবং এর স্থায়ীত্ব কতদিন থাকে এ সংক্রান্ত কোনো ধারা সংগঠনের গঠনতন্ত্রে আছে কিনা? প্রশ্ন করলে জায়েদ বলেন, এমন কোনো বিধি নেই। গঠনতন্ত্রে নির্বাচনের ১৫ দিন আগে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তারা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করবে। নির্বাচন সম্পন্ন করার পর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা পর্যন্তই তাদের মেয়াদ। এরপর বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ প্রক্রিয়ায় পরবর্তীতে নতুন কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এবারের নির্বাচনে আপিল বোর্ড যা করেছে, তা একেবারেই বিধি ও নিয়ম বর্হিভূত। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা এবং নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর এটা তারা করতে পারে না। তারা যা করেছে, তা কোনোভাবেই সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আইনী ব্যবস্থা নেব। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, আইনের মাধ্যমে সুবিচার পাব। নির্বাচনে অনিয়ম প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, সব নির্বাচনেই পরাজিত প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ করেন। এটা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে প্রমাণ সাপেক্ষ ব্যাপার। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, ভোট পুনঃগণনার আবেদন করে নিপূণ ও তার প্যানেলের লোকজন সন্তুষ্ট হয়ে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর করেছেন। তারপর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে। এরপরও নিপূণ নানা অভিযোগ নিয়ে বিলুপ্ত আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আপিল বোর্ড আপনাকেও ডেকেছিল, আপনি যাননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ বলেন, আমার তো যাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিলুপ্ত ও অস্তিত্বহীন আপিল বোর্ডে আমি যাব কেন?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন