শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

নান্দাইলে নিষেধাজ্ঞার জমি জবরদখলে ঘর নির্মাণের অভিযোগ !

মো: শামসুল আলম খান | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:০৬ পিএম

ময়মনসিংহের নাদাইল উপজেলায় বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার জমিতে সন্ত্রাসী কায়দায় মেহগণি গাছের বাগান কেটে জবরদখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জরবরদখলকারিদের সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের। এনিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারাও।
এমন অভিযোগ উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের ভুৃক্তভোগী আ: হামিদ, স্ত্রী হাসিনা খাতুন ও ছেলে মামুনুর রশিদের। তারা জানায়, ১৯৭২ সালে স্থানীয় আ: রহমান ও তাঁর স্ত্রী জমিলা খাতুন যৌথ ভাবে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ১৯৯২ সালে আ: রহমান তাঁর নামের অংশটুকুও স্ত্রী জমিলা খাতুনকে লিখে দিলে ২০০১ সালে জমিলা খাতুন প্রতিবেশি হাসিনা খাতুন ও তাঁর ছেলে মামুনুর রশিদের কাছে সাফকাওলা দলিলে বিক্রি করে দেয়। সেই থেকে জমিটিতে মেহগণি গাছের বাগান করে ভোগদখল করে আসছে হাসিনা খাতুন ও তাঁর ছেলে মামুনুর রশিদ।
কিন্তু জমিলা খাতুন মারা যাবার পর সম্প্রতি আ: রহমান ও জমিলা দম্পতির ছেলে ইব্রাহিম ও দুলাল জানতে পারে ১৯৮৪ সালের ভূমি জরিপে জমিটি রেকর্ড হয়েছে তাদের বাবা আ: রহমানের নামে।
ভুক্তভোগী মামুন জানায়, বর্তমানে জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় আ: রহমান ও জমিলা দম্পতির ছেলে ইব্রাহিম ও দুলাল আমার কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু তাদের মায়ের কাছ থেকে জমি কিনে নেওয়ায় তাদেরকে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী জসীম উদ্দিনের কাছে অবৈধ ভাবে এই জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এ সুযোগে চলতি বছরের ৩ জুলাই জসিম উদ্দিন সন্ত্রাসী কায়দায় আমার মেগণি বাগানের ৪০টি গাছ জোরপূর্বক কেটে মাটি ভরাট করেছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে জসিম ও তাঁর ছেলে আকরাম, সাদ্দাম আমাদের ওপর হামলা করে মারপিট করে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে মামুনুর রশিদ। একই সাথে ঈশ^রগঞ্জ চৌকি আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলাও করা হয়।
এরপর আদালতের নির্দেশে এই বিরোধপূর্ন জমিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাল নিশান টানিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ। কিন্তু জসিম উদ্দিন আদালতের আদেশ অমান্য করে নিষেধাজ্ঞার জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করেছে।
অথচ গত ২২ জুন ওই বিরোধপূর্ন জমির দখল ও মালিকানা সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তা। এই প্রতিবেদনেও প্রায় ২১ বছর যাবত ক্রয়সূত্রে এই জমিটি হাসিনা খাতুন ও তাঁর ছেলে মামুনুর রশিদ ভোগদখল করে আসছে বলেও জানানো হয়।
এবিষয়ে নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নূর আহম্মদ বলেন, আদালতের আদেশে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন ওই জমিতে কেউ ঘর নির্মাণ করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে এ সংক্রান্ত আদালতের যে কোন আদেশ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন