মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : উপজেলা কৃষি বিভাগ, মশলা গবেষণা কেন্দ্র এবং গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক) নামের একটি এনজিওর প্রশিক্ষণ পরামর্শ ও উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে বগুড়ার শাজাহানপুরের বীরগাঁও পল্লীর ২যুবক দেশি জাতের আদার সাথে সাথী ফসল হিসেবে পেঁপে চাষকেও একবছরের মধ্যেই আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম পল্লীর ২ উদ্যোগী যুবক যথাক্রমে সুজন (৩০) ও তার বন্ধু কৃষি ভিত্তিক কিছু একটা করে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের স্বপন দেখার সময় তাদেও পাশে এসে দাঁড়ায় এনজিও সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র ( গাক ) । গাক তাদেরকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ,ও বগুড়ার মশলা গবেষণা কেন্দ্র এর গবেষণা শাখার সহযোগিতায় তাদের দু’জনসহ বেশ কয়েকজনকে মশলার সাথে সাথী ফসলের চাষ এর বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয় । প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গাক’ তাদেরকে জমি লীজ গ্রহণ ও আদা ও সাথী ফসল পেঁপে চাষের জন্য ঋণ হিসেবে কিছু অর্থ সহায়তা দেয় । এই অর্থের সাথে নিজেদের বিনিয়োগের অর্থে তিন একর জমিতে তারা আদার সাথে একই জমিতে পেঁেপ চাষ করে । জমি লিজ গ্রহণ ও চাষ সব মিলিয়ে তাদের খরচ হয় ১৫ লাখ টাকা ।
তবে চাষের পর ইতোমধ্যেই ৯মাস পার হওয়ার পর তারা পেঁপে বিক্রি করেছে ৫ লাখ টাকা। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত তারা আরো অন্তত ২/৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, যুবক দ্বয়ের আসল লাভ হবে মুল ফসল আদা বিক্রির সময়। মশলা গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন , যুবকেরা দেশীয় বারী-২ জাতের আদা রোপন করায় বিঘা প্রতি ১শ’ মন ফলন হবে । সেই হিসেবে বিক্রির সময় যদি আদার বাজার মুল্য একেবারেও সর্বনি¤œ পর্যায়েও থাকে তাতেও কমপক্ষে ১৫ বিঘায় উৎপাদিত আদা বিক্রি করে ২০ লাখ টাকা পাবে। ফলে পেঁপে ও আদা মিলিয়ে তারা ১৫ লাখটাকা বিনিয়োগের বিপরীতে প্রায় সমপরিমাণে অর্থ লাভবান হবে। যা দুজনের স্বাবলম্বি হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ বলে জানিয়েছেন তিনি ।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন