মুখস্ত নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বে অচল। শিক্ষার্থীদের এমনভবে তৈরি করা হবে তারা যেন মুখস্তগত বিদ্যার উপর নির্ভর না করে নিজেরা উত্তর তৈরি করে লিখতে পারে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি আসার পর ব্রিটিশ আমল থেকে যে প্রশ্নপত্রের কাঠামোতে পরীক্ষা হতো তা পরিবর্তন হয়ে গেছে। লক্ষ, লক্ষ টাকা ব্যয় করে দেশের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হলো। শিক্ষকগণ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেবেন তা ভালো কথা। এখন প্রশ্ন হলো, শিক্ষার্থীরা কতটুকু সৃজনশীল হয়ে লিখতে পারবে? কথায় বলে, নিজে একলাইন লিখতে হলে অপরের লেখা ১০০ লাইন পড়তে হয়। তাহলে নিজের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এখন অনেক শিক্ষার্থী গাইড এবং নোট বই বেশি পড়ে। পাঠ্যবই কম পড়ে, ফলে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখতে হলে পাঠ্যবইটি ভালো করে পড়তে হবে, তারপর রিলেটেড অন্য বই জার্নাল/ম্যাগাজিন ইত্যাদি পড়ে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করতে এমন কি বোর্ডের এসএসসি এবং জেএসসির খাতা মূল্যায়ন করতে গিয়ে দেখা যায় সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে বলছে একটা আর শিক্ষার্থী উত্তর লিখেছে অন্যটা অর্থাৎ অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখে খাতা ভরপুর করে রেখেছে। সঠিক উত্তর না লেখার কারণে শিক্ষার্থী তখন শূন্য নম্বর পায়। ফলে, পরীক্ষায় পাশের হার কমে যায়। সৃজনশীল প্রশ্ন পত্রে একটি উদ্দীপক থাকে। উদ্দীপকটিকে ঘিরে চারটি প্রশ্ন থাকে। প্রথম প্রশ্নটি জ্ঞানমূলক মার্ক ১ নম্বর, দ্বিতীয় প্রশ্নটি অনুধাবনমূলক মার্ক ২ নম্বর। তৃতীয় প্রশ্নটি প্রয়োগমূলক মার্ক ৩ নম্বর এবং চতুর্থ প্রশ্নটি উচ্চতর দক্ষতামূলক মার্ক ৪ নম্বর। প্রথম প্রশ্নটি বই থেকে সরাসরি আসে এবং পাঠ্যবইয়ে যেভাবে উত্তর আছে ঠিক সেভাবে লিখতে হয়। সঠিক উত্তর হলে ১ নম্বর পায়। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর পাঠ্যবইয়ের কথা নিজের ভাষায় লিখতে হয়। জ্ঞানের অংশের জন্য ১ নম্বর এবং ব্যাখ্যার অংশের জন্য ১ নম্বর পায়। তৃতীয় প্রশ্নটির তিনটি অংশ থাকে। প্রত্যেক অংশের জন্য এক নম্বর করে পায়। চতুর্থ প্রশ্নটিও ঠিক একই রকম চারটি অংশ থাকে। প্রত্যেক অংশের জন্য নির্ধারিত মার্ক আছে। উত্তর সঠিক হলে শিক্ষার্থীরা পুরো নম্বর পায়। এখন দেখা যায় শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রশ্নের গ এবং ঘ এর প্রশ্ন অর্থাৎ ৩নং ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে অনেকে কিছুই বুঝে না উদ্দীপকটি বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লিখে। যথার্থ উত্তর না লিখার কারণে শূন্য নম্বর পায়, যা শিক্ষার্থীদের কোন কাজে আসে না। একটি স্কুলে বা শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থী আছে। কেউ আছে অতিমেধাবী যাদের সংখ্যা খুবই কম। মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ে ধরলে সর্বোচ্চ ১০% থেকে ১৫%। মধ্যম মানের এবং নিম্ন মধ্যম মানের শিক্ষার্থীই বেশি। তাদের সৃজনশীল করে তুলতে হলে পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান খুব ভালোভাবে জানা থাকতে হবে এবং সাথে সাথে অন্যান্য বই, ম্যাগাজিন, জার্নাল ইত্যাদি ভালো করে পড়তে হবে। অতি মেধাবী ছেলে-মেয়েদের বেশি পড়াতে হয় না, একটু টাচ দিলেই তারা বুঝতে পারে এবং নিজে নিজে পড়া তৈরি করে ফেলে। তাদের সৃজনশীল জ্ঞান ভালো। যে কোন প্রশ্ন তারা নিজেরা বুঝে শিক্ষক বা টিউটরের একটু সাহায্য নিয়েই সমাধান করতে পারে। সমস্যা হলো মধ্যম, নিম্ন মধ্যম এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে। মধ্যম মানের শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল করে তুলতে হলে তাদের প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান রপ্ত করে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে।
উপমা হিসেবে বলতে পারি পাঠ্যবইয়ে যে অংকগুলি আছে সেগুলি আগে ভালোভাবে করে তারপর সৃজনশীল অংক করতে হবে। পাঠ্যবইয়ের অংক ভালোভাবে জানা না থাকলে সৃজনশীল এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্নের দিকে দৌড়ালে লাভ হবে না। এজন্য শিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে। এবার আসা যাক বাংলা ইংরেজী এবং বিজ্ঞান বিষয়ের কথায়। অনেক শিক্ষার্থীকে দেখা যায় বাংলা ব্যাকরণ এবং ইংরেজী ব্যাকরণ ভালোভাবে না পড়ে কেবল মডেল প্রশ্ন পড়ে। এই যদি হয় পড়ার ধরন! তাহলে ঐ শিক্ষার্থী সফল হতে পারবে না। বাংলা ব্যাকরণ এবং ইংরেজী ব্যাকরণ অংকের সূত্রের মতো মুখস্থ করে সৃজনশীল এবং মডেল প্রশ্ন পড়তে হবে, তাহলে ফল পাবে। নচেৎ কিছুই বুঝবে না। আগে ব্যাকরণের অংশও বহুনির্বাচনী অংশ ছিল। এখন ইংরেজী ব্যাকরণ ৩০ নম্বর লিখিত পাঠ্য করা হয়েছে। বাংলা ব্যাকরণ বহুনির্বাচনী রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্যাকরণে আগেকার শিক্ষার্থীর চেয়ে অনেক কাঁচা রয়ে গেছে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পদ্ধতি আসার আগে আমরা বাংলা ও ইংরেজী ব্যাকরণগুলি ভালো করে পড়েছি। এখন অনেক শিক্ষার্থীকে যদি বলি সকল কারকে ‘এ’ (৭মী) শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও। তা বলা তো দূরের কথা তখন উত্তর দেয়, এইগুলি পরীক্ষায় আসে না। তখন আরো বাড়িয়ে বলে চারটি অপসন আছে, বলুন, আমি উত্তর বলি। মুখস্থ বিদ্যাকে আমরা সম্পূর্ণ পরিহার করতে পারবো না। যেখানে মুখস্থ করা দরকার তা মুখস্থ করতে হবে। তার পর সৃজনশীল হতে হবে। সৃজনশীল হতে গিয়ে আমি মুখস্থ বিদ্যাকে উপেক্ষা করতে পারি না। এখন শ্রেণি কক্ষে পাঠদান পদ্ধতি অংশগ্রহণমূলক। দলীয় কাজ, একক কাজ, জোড়ায় কাজ, বাড়ির কাজ, মূল্যায়ন উপকরণের ব্যবহার ইত্যাদি সব কিছু করতে হয়। তাই বলে কি আমরা সম্পূর্ণরূপে বক্তৃতা পদ্ধতি বাদ দিতে পেরেছি? শিক্ষার ইতিহাস পড়লে দেখা যায়, বক্তৃতা পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকে শুর করে মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগ পর্যন্ত আছে। যা আমাদের রক্ত মাংসের সাথে মিশে আছে। তবে বর্তমানে শ্রেণি কক্ষে বক্তৃতা পদ্ধতিতে পাঠদান পদ্ধতি অনেক কমে আসছে। আধুনিক শিক্ষা উপকরণ এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শিক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতি এর বাস্তব উদাহরণ। যারা দুর্বল শিক্ষার্থী বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে তাদেরকে অংক, ইংরেজী এবং বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলিকে শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে হাতে কলমে বুঝিয়ে দিলে তাদের সৃজনশীল করে তোলা যাবে। এ জন্য অভিভাবকগণ বাসায় ছেলে-মেয়েদেরকে বেশি তদারকি করতে হবে। কম্পিউটার, টিভি, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ই-মেইল ইত্যাদির ব্যবহার থেকে দূরে রাখতে হবে। বই পড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে হবে। আমার বিশ্বাস এবং ধারণা, যে ছেলে-মেয়েরা লেখা পড়ায় মনোযোগী, বই পড়ার আগ্রহ বেশি, তাদের অবশ্যই সৃজনশীল জ্ঞান বেশি। যে কোন বিষয় তারা একটু পড়ে সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখতে পারে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে তথ্য যেমন আমদেরকে দিয়েছে বেগ, উন্নতজীবন এবং পৃথিবীকে খুব সহজ করে দিয়েছে তদ্রুপ তথ্যের অপব্যবহার আমদের আবেগকে কেড়ে নিয়েছে। বর্তমান যুব সমাজের একটা অংশ তথ্যের অপব্যবহারে জড়িয়ে তাদের জীবনকে নষ্ট করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন তথ্যের অপব্যবহার করতে না পারে সে দিকে শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শিক্ষার কর্ণধার, যারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেন, তাদের প্রতি আবেদন, বাংলা ২য় পত্রে অর্থাৎ বাংলা ব্যাকরণ আগের মতো ৩০ বা ৪০ নম্বর রচনামূলক (লিখিত) করলে শিক্ষার্থীরা ব্যাকরণের অংশ ভালো করে পড়বে এবং শিখবে। পরীক্ষায় ব্যাকরণের অংশ রচনামূলক না থাকলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ব্যাকরণের রচনামূলক অংশ না পড়ে শুধু বহুনির্বাচনী প্রশ্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে, শিক্ষার্থীরা ব্যাকরণে কাঁচা থেকে যায়। বাংলা ব্যাকরণে শিক্ষার্থীরা দুর্বল থাকলে তাদের ভাষা বলার ধরনও দুর্বল হবে। অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলবে। এই জন্য শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক এবং হাইস্কুল থেকে ব্যাকরণের ভিত্তি মজবুত করে তুলতে হবে। বাংলা ভাষার বয়স হাজার বছর কিন্তু বাংলা ব্যাকরণের বয়স আড়াইশত বছর। আমদের মনে রাখা দরকার, একমাত্র ব্যাকরণই ভাষাকে সহি-শুদ্ধ রূপ দিতে পারে। এখন শ্রেণি কক্ষে আলাদাভাবে ব্যাকরণ পড়াতে গেলে প্রায় শিক্ষার্থী পরীক্ষায় না আসার কারণে উষ্মা প্রকাশ করে। তখন শিক্ষককে বাধ্য হয়ে বলতে হয়, তোমরা ব্যাকরণের অংশটি বাসায় পড়ে নিও। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজী ১ম পত্র একটি টেক্স বা পাঠ্যবই আছে। এই বই থেকে কোন প্রশ্ন গ্রামারের অংশ না আসার কারণে বইটি ভালো করে পড়ে না। আমরা যখন স্কুলে পড়েছি তখন ইংরেজী ১ম পত্র বইটি ভালো করে পড়েছি। এই বই থেকে বড় এবং ছোট প্রশ্ন গ্রামারের অন্যান্য দিক আসতো। এখন শুধু দেখতে পাই শিক্ষার্থীরা মডেল প্রশ্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পাঠ্যবই কম পড়তে দেখা যায়। এখন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন হয় গ্রেডিং পদ্ধতিতে। কিন্তু আসল কথা হলো তারা সেভাবে জ্ঞান আহরণ করছে কিনা? এই গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে কতটুকু মেধাবী হচ্ছে? আগে যখন ডিভিশন পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করা হতো তখন একমাত্র অংক বিষয়টি ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে আশি নম্বর পাওয়া ছিল কল্পনাতীত। দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে যে ছাত্র গণিত বিষয়ে আশি-নব্বই পেতো তাকে সবাই খুবই ভালো ছাত্র মনে করতো। গ্রামাঞ্চলে আশির দশক পর্যন্ত বিএসসি শিক্ষক পাওয়া খুব কঠিন ছিল। বিজ্ঞান অর্থাৎ পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান বিষযগুলি শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিখিয়ে দেওয়ার মতো বিজ্ঞান শিক্ষক অর্থাৎ বিএসসি পাওয়া যেতো না। একমাত্র থানা সদরে অবস্থিত পাইলট হাইস্কুল ব্যতীত অন্যান্য স্কুলে তেমন বিএসসি শিক্ষক ছিল না। বাংলা, ইংরেজীসহ অন্যান্য বিষয়ে তখন শতকরা ৬০% নম্বর পাওয়া খুব কঠিন ছিল। এখন যেভাবে প্রতি বিষয়ে ৮০ নম্বর করে এ+ প্লাস নম্বর পায় তারা কি আগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি জ্ঞানী? যদি হয়ে থাকে তবে তাদের তো দেশের জন্য নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে দেখছি না। প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা নিলে অনেক সময় তাদের মেধার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এখন কথার ছলে অনেকে বলে থাকে আগের পদ্ধতিই ভলো ছিল। চলো যাই আগের পথে। দেশের শিক্ষা পদ্ধতির উন্নতির জন্য আমার ব্যক্তিগত মতামতগুলি সদয় বিবেচনা করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
১. দেশের মেধা পাচার বন্ধ করতে হবে। তারা যেন শিক্ষকতা পেশায় আসে তার ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে করতে হবে।
২. দেশের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের উচ্চতর বেতন স্কেল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আবাসন সুবিধা, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং রেশন সুবিধা প্রদান করে তাদের শিক্ষাদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ শ্রেণিকক্ষভিত্তিক করতে হবে।
৩. প্রাইভেট, কোচিং ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ না বলতে হবে। সরকারি বিধির বাইরে যেন কেউ এ ব্যবস্থায় জড়িত না হতে পারে তা সর্বদা মনিটর করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. প্রত্যেক শ্রেণি কক্ষ/শাখায় সর্বোচ্চ ৪০-৬০ জন শিক্ষার্থী রেখে পাঠদান করতে হবে। শ্রেণি কক্ষেই তাদের সিলেবাস শেষ করে দিতে হবে। পাঠদান শেষে শিক্ষার্থী কতটুকু রপ্ত করলো তা দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বা পিতা/মাতাকে সঠিকভাবে টেইক কেয়ার করতে হবে।
৬. দুর্বল এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে যারা যে শ্রেণির উপযুক্ত সে শ্রেণিতে পড়াতে হবে।
৭. দেশে যত্রতত্র স্কুল, কলেজ, কিন্ডার গার্ডেন প্রতিষ্ঠা না করে একটি সঠিক পরিসংখ্যান ভিত্তিক এবং বিধি মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কার এবং খারাপ ফলাফলের জন্য জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করে তার প্রতিকার করতে হবে।
৯. মাধ্যমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত রচনামূলক/সৃজনশীল ৮০ নম্বর এবং বহুনির্বাচনী লিখিত ২০ নম্বর করার ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. প্রতিবছর দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে থানা, জেলা পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নকল্পে সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে শিক্ষায় সুবিধা অসুবিধার কথা শুনে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা এবং মান উন্নত করতে হবে।
১১. আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষায় সর্বস্তরে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে পাঠ দান পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হবে।
১২. শ্রেণি শৃঙ্খলা এবং শ্রেণি ব্যবস্থাপনা রক্ষার জন্য দুষ্ট, অমনোযোগী, অবাধ্য শিক্ষার্থীদের প্রতি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষামূলক শাস্তি বা অতিরিক্ত কাজের লোড দিতে হবে।
লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন