পাবনার ঐহিত্যবাহী ইছামতি নদী। শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই নদীর বুক ফাটা কান্না শোনে না কেউ। প্রায় ২০ বছর ধরে পাবনার ইছামতি নদী খনন করা হবে, সচল করা হবে এই ধরনের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। দীর্ঘ দিনে নদী শুকিয়ে গেছে। পরিণত হয়েছে ময়লা আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, পরিবেশ দুষিত হচ্ছে, মশা উৎপাদনের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রবাহমান করে পূর্বে ফকিরপুর ঘাট দিয়ে সাঁথিয়া পাউবোর ইছামাতি সেচ ক্যানেলের সাথে সংযোগ এবং পশ্চিমে পাবনা শহরের অদূরে চর সাধুপাড়া সøুইস গেট থেকে চরের মধ্যে ক্যানেল করে এই নদী পদ্মা নদীর শাখা নদী মরা পদ্মার সাথে সংযোগ করা হলে ইছামতি নদীর নাব্যতা ফিরে আসবে। প্রবাহমান হবে ইছামতি নদী । শহরের মধ্যে নদী খনন করে এর দুই পাড় বেঁধে দিলে শহরের সৌন্দর্য আরো বাড়বে।
এককালের স্রোতবাহী এই নদী, যে নদী পথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাবনায় এসেছেন, এই নদী পথে গেছেন শাহাজাদপুর কাছারিবাড়িতে, যে নদী পথে চলতো ঢাকার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সেই ইছামতি নদী এখন মৃতবৎ, আর্বজনার ভাগাড়। বিভিন্ন নদীতে পানির টান পড়ায় কালে কালে এই নদী গভীরতা ও পানির প্রবাহ হারিয়ে ফেলে। এই নদীর যে অংশটুকু এখন দৈর্ঘ্য-প্রস্থে আছে সেটি বহাল রেখে নদীর গভীরতা বাড়িয়ে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। প্রায় ২০ বছর আগেও এই কাজ কয়েকবার করার চেষ্টা হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।
ইছামতি নদী পাবনা শহরে তার আদি চেহারা ফিরে পায়নি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৪ জুলাই পাবনা সফরে আসছেন। পাবনাবাসী দাবি করেছেন, তিনি ইতোপূর্বে অন্যান্য স্থানে বদ্ধ হয়ে পড়া নদী, জলাশয় খনন করে এগুলোর শোভা বর্ধন করে দিয়েছেন। পাবনার ইছামতি নদী খননে প্রশাসনকে যথাযথ নির্দেশ দেবেন। উল্লেখ্য, পাবনার ইছামতি নদীকে প্রবাহমান করতে হলে এই কাজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, পাবনা পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন এই তিন দফতরের সমন্বয় জরুরি বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন