উন্নয়নের জোয়ার বইছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায়।‘শেখ হাসিনার দর্শন বাংলাদেশের উন্নয়ন’ ধারাকে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার বইছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অগ্রযাত্রার ৯ বছরে সারা দেশের মতো কোটালীপাড়া উপজেলায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, নৌ-যোগাযোগ, বেকারদের কর্মসংস্থান, সাধারণ মানুষের জীবন-মানের উন্নয়নসহ গোটা সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন বদলের সনদ হিসেবে রূপকল্প-২০২১ উপস্থাপন করেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশের দিন বদলে যেতে থাকে। যেমনÑ গ্রামীণ যোগাযোগ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পসহায়ক, অবকাঠামো নির্মাণসহ শিক্ষার আধুনিকায়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মান উন্নয়নসহ সরকারের আরো অনেক কর্মসূচি বাংলাদেশকে দ্রæত বদলে দিচ্ছে।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন আরো বিস্তৃত ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ, বাংলাদেশের সাফল্য এখন বিশ্বব্যাপী উদাহরণ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) এর আটটি অভিলক্ষ্যের মধ্যে পাঁচটি অভিলক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্ষুধা, দারিদ্র্যপীড়িত, জলবায়ু পরিবর্তনের স্বীকার একটি অসহায় দেশের রুগ্ন প্রতিচ্ছবি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উদীয়মান বাঘ। রূপকল্প বাস্তবায়নে কোটালীপাড়া উপজেলায় বিগত ৯ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরো অনেক কাজ বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীনসহ জনগণের জীবন মানের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত যেসব উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে সেগুলো হলোÑ ৯৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ শ’ ৩৬ কি.মি. ২৮টি পাকা রাস্তা, ৫৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি ব্রিজ, কালভার্ট ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনসহ কয়েকটি ভবন নির্মাণ, ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি বিদ্যালয়, ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন, তিন কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভবনসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থান নির্মাণ, ২১৩ কোটি টাকা ব্যয় বাপার্ড একাডেমিক ভবন, হোস্টেল ভবন, অফিসার্স কোয়ার্টার ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ করাসহ বিদ্যুৎ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়াও শতকোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ ভবনটি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে তৈরি করায় ইতোমধ্যে ভবনের প্লাস্টার খুলে ইট বের হয়ে গেছে এবং মরিচা ধরেছে। অপর দিকে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ সড়কটি খানাখন্দে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অচিরেই ভবনটি মেরামত ও সড়কটি মানসম্মতভাবে নির্মাণ করা না হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করবে। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, পৌরমেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাজী মোঃ কামাল হোসেন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আয়নাল হোসেন শেখ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাজী মো. আমিনুজ্জামান খান মিলন, আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, শেড গ্রæপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরুণ সমাজ সেবক ডা: সঞ্জয় বাড়ৈ জয়, মারুফ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ সমাজ সেবক সাবেক ছাত্রনেতা মো. লাভলু শেখ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা তরুণ সমাজ সেবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বুলবুল আহম্মেদ হাজরা বলেন, সারা বাংলাদেশের মতো সব সেক্টরে কোটালীপাড়া উপজেলা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তিনবারের নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। তিনিই একমাত্র জনবান্ধব উন্নয়নবান্ধব সরকার। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে যা দরকার সব কিছুই দিয়েছে।
এভাবে গোটা দেশের সড়ক যোগাযোগ রেললাইন, বিদ্যুৎ, পদ্মা সেতু, গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সমস্ত সেক্টরে অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে দেশের মানুষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন