ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ হাসপাতালে নার্স সাথীর তান্ডব। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মেয়েকে মারপিট। গভীর রাতে জোরপূর্বক বৃদ্ধা রোগীকে রিলিজ দিয়ে বের করে দেয়ার ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী আলেমা বেগম।
অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার গড়ুরা স্কুলপাড়া গ্রামের আমানুল্লাহর স্ত্রী আলেমা বেগম গত ২৬ আগস্ট দুপুরে তার ৭০ বছর বয়সী শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধা মা জমিলার চিকিৎসার জন্য পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মহিলা ওয়ার্ডের ১৬ নং বেডে ভর্তি করেন। সে দিন থেকে যথারীতি চিকিৎসা চলতে থাকে। ২৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত নার্স সাথী আক্তার হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় তার দাপটে রোগীর মেয়েকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিক নির্যাতন চালায়।
এ কারণে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে হাসপাতালের ওযার্ডের সামনে কর্তব্যরত নার্স সাথী আক্তার তান্ডব চালিয়ে হাতে থাকা কাঠের স্কেল দিয়ে রোগীর মেয়ে আলেমা বেগমকে অন্যায়ভাবে তলপেটে কয়েকবার আঘাত করে এবং হাতের কব্জিতেও মারপিট করে। এতেও শান্ত হয়নি নার্স সাথী আক্তার, বরং অগ্নিমূর্তি ধারণ করে দায়িত্বরত একজন নার্সের সহায়তায় গভীর রাতে হাসপাতাল বেডে চিকিৎসাধীন আলেমার অসুস্থ বৃদ্ধ মায়ের হাতে ছাড়পত্র ধরিয়ে দিয়ে হাসপাতাল হতে বের করে দেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পরে মোবাইল ফোনে থানা পুলিশ ডেকে তাদের বের করার চেষ্টা করলে রাত গভীর হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা তাদের রাত্রী যাপনের অনুমতি দেয় এবং পুলিশের পরামর্শক্রমে পরদিন সকালে হাসপাতাল ছেড়ে তারা চলে যান।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আলেমা বেগম (৪০) নিজেও একজন গলব্লাডার ও কিডনি অপারেশনের রোগী হওয়ায় তার ক্ষত স্থানে স্কেল দিয়ে আঘাত করায় তিনি শারীরিক ভারসাম্য হরিয়ে ফেলেন। ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ ঘটনার সুবিচার ও শাস্তি দাবি করে আলেমা বেগম সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খায়রুল কবীরের মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি জরুরি কাজে ঢাকায় থাকায় বিষয়টি অবগত নই, এমনটি হয়ে থাকলে তা নিঃসন্দেহে একটি দুঃখজনক ঘটনা। তবে যাই হোক তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন