রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

টিএইচএ ও আরএমওকে প্রত্যাহার দাবি এলাকাবাসীর

দাউদকান্দির গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:১২ এএম

অবহেলা, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, দালালদের উৎপাত, কমিশনের বিনিময়ে রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠানোসহ টিএইচএ ও আরএমও’র মধ্যে চরম বিরোধের কারণে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী উক্ত দুই কর্মকর্তাকে এখান থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে হাসপাতালে রোগী সেবার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন রোগীরা অভিযোগে করে বলেন, থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচএ) হিসেবে ডা. জালাল ও আবাসিক মেডিকের অফিসার (আরএমও) ডা. মোঃ শাহিনুল আলম সুমন এখানে যোগদান করার পর থেকে হাসপাতালে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু হয়েছে। এছাড়াও এক পর্যায়ে উক্ত দুই কর্মকর্তা চরম বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে এখানে রোগী সেবার নামে দেখা দেয় চরম নৈরাজ্য। জানা গেছে, ডাক্তাররা স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর সাথে মোটা অংকের কমিশন চক্তির বিনিময়ে বিভিন্ন মিথ্যা-ভূয়া অজুহাত দেখিয়ে রোগীদেরকে পরীক্ষা করার জন্য ওখানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এখানে প্রসূতি বিভাগ থাকা স্বত্তে¡ও নামকাওয়াস্তে কয়েকজন প্রসূতির সিজারিয়ান করা হয় আর বাকিদের কমিশন চুক্তি মোতাবেক প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো হয়। এছাড়াও ডিমান্ড সাইড ফাইনেনসিং প্রকল্পের আওতায় যেসব গরীব প্রসূতি রয়েছেন তারা বাচ্চা ডেলিভারির পর সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত যে পরিমান টাকা পওয়ার কথা তা তারা পচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সরকারী বিধি মোতাবেক এসব সিজারিয়ান করছেন কামাল মেডিকেল (প্রাইভেট)। কিন্তু সিজার করার আগেই টাকা বুঝে পাওয়ার ফর্মে কৌশলে প্রসূতির স্বাক্ষর নিয়ে নিচ্ছেন। কোন কোন প্রসূতিকে কিছু টাকা দিলেও রোগীর জটিল পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে নানাহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কয়েকগুন বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লীষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারী তালিকাভূক্ত কামাল মেডিকেলে প্রসূতির সিজার হলে তার জন্য বরাদ্দ ৬,০০০/= (ছয় হাজার টাকা ), নিজ বাসায় ডেলিভারি হলে ৫০০/= পাঁছশ’ , অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে নরমাল ডেলিভারি হলে ২৫০০/= (দুই হাজার পাঁছশ’) টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তা তারা পাচ্ছে না। স্থানীয় সাংসদের সাথে যোগাযোগ করলে এমপি মহোদয়ের পিএস সিবলি নোমন সরকার ইনকিলাবকে জানান, গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উক্ত দুই কর্মকর্তার চরম অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকার অনেকেই অভিযোগ করেছেন। থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জালালের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নই, আর এখানে কোনো রকম অনিয়মও হচ্ছে না। রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন