অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ! কাঠের সাঁকোতে উঠতে হয় ব্রিজে। এ অবস্থা আজ-কাল থেকে নয়। কমপক্ষে ১০-১২ বছর থেকে। ওই সময় বন্যায় ব্রিজটির অ্যাপ্রোচ রোডের মাটি পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ভেসে যাওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি চলছে এ অবস্থা। সংযোগ সড়কের সাথে যোগ করে বানানো হয়েছে কাঠের সাঁকো। আর সেই কাঠের সাকোতেই উঠতে হয় ব্রিজে। এ ভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সুরিহারা-বালিয়াগাঁও রাস্তায় উত্তর পাইকুড়া-কাটাখালী ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোড না থাকায় এ রাস্তায় চলাচলকারী কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে।
জানা যায়, এ ব্রিজটির অ্যাপ্রোচ রোড পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে ব্রিজের সাথে কাঠের সাঁকো বসিয়ে কোনোরকমে পারাপার হতে পারলেও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষকে তিন-চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে মালামাল পরিবহন করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিশেষ করে সালধা. পাইকুড়া. বাইলেগাঁও. জড়াকুড়া. কান্দুলী. কুচনীপাড়া. ভবানীখিলা. কালিনগর. দড়িকালিনগরসহ কমপক্ষে ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তা ছাড়া এসব গ্রামের সহস্রাধিক স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাপড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের এই ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী রাস্তাটির পশ্চিম পার্শ্বের একটি বাড়িও এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। বলতে গেলে অনেকটা ধসেই পড়েছে।
মোট কথা, ব্রিজটির দুই প্রান্তে আনুমানিক তিন-চার শ’ মিটার কাঁচা রাস্তাটুকু না থাকায় বহুদিন ধরে ব্রিজটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ঝিনাইগাতী উপজেলার সরেয়ার্দী দুদু মন্ডল এবং জড়াকুড়া গ্রামের অব: সেনা সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন মুকুল বলেন, ব্রিজটির দুই পাশে মাটি দিয়ে সংযোগ সড়কটি তৈরি করা হলেই কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারবে নির্বিঘে। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধে কে? জনপ্রতিনিধিদের তো এদিকে কোনো খেয়াল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন