শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফুলবাড়ী বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি

মো. আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম


বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন সবজি,সবজি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এরই মধ্যে অনেকেই বিক্রি করেছেন ক্ষেতের সবজি, দামও পেয়েছেন ভালো। খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি হওয়ায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ। ফলে প্রতি বছরই চাষিরা ঝুঁকছেন আগাম সবজি চাষের দিকে। দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহ আর কৃষকের মনের সবুজ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে উৎপাদিত শীতকালীন আগাম সবজি হাট বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। আর এসব সবজি কিনতে ফুলবাড়ীর বাজারে ভিড় করেছেন জেলা শহরগুলোর পাইকাররাসহ স্থানীয়রা। প্রতিদিন এ উপজেলার সবজি যাচ্ছে বিভিন্ন হাট বাজারে। আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে বিক্রি করে কৃষকও বেশ ভাল দাম পাচ্ছেন। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সেইসাথে জমে উঠেছে কাকডাকা ভোর সকালের এই আগাম শীতকালীন সবজির বাজার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর মোট ৩৫০হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষ হয়েছে যা থেকে ফলন হবে প্রায় ৮.৫০ মেট্রিক টন সবজি।

এদিকে ফুলবাড়ী পাইকারী সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত আগাম জাতের শাকসবজি নিয়ে বাজারে বিক্রি করার জন্য আসছেন । আর বিভিন্ন এলাকা থেকে শাকসবজি কেনার জন্য বাজারে ভিড় করছেন সাধারণ ভোক্তাসহ পাইকাররা। এখানকার সবজি গুণে মানে ভালো হওয়ায় সারাদেশে এই সবজির চাহিদা রয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু করে এই সবজির বাজার চলে ১০টা পর্যন্ত। এরপর ভ্যান বোঝাই করে সবজি চলে যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় বাজারগুলোতে । পৌর বাজারের পাইকারি আড়ৎগুলোতে ফুলকপি ৩০ টাকা, মূলা ২০টাকা, পেঁপে ১৫টাকা,বাঁধাকপি ৩০টাকা, প্রতি পিস লাউ ২০-৩০ টাকা। ধনিয়া পাতা কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১২০টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৫০-৬০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কিছুটা কমেছে বলেই জানালেন খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা।
এ সময় কথা হয় ফুলবাড়ী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহাজামালের সাথে তিনি বলেন, আগাম শীতকালিন সবজি বাজারে উঠার কারনে সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

কৃষ্ণপুর গ্রামের রমজান আলী বলেন,আমি দেড় বিঘা জমিতে মূলা চাষ করেছি। আগাম চাষ করা সবজিগুলো বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছি তাই বেশ ভালো লাগছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে এই এলাকার কৃষক আগাম জাতের শীতকালীন সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছেন। তিনি আরও বলেন সবজি ক্ষেতে যাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করেই ফলন বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়েও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয় কৃষকদের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন