পাহাড়ধসে প্রাণহানি এড়াতে বর্ষার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। যেকোন মূল্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। গতকাল (বুধবার) এক সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান জানান, অন্যবারের তুলনায় এবার পাহাড়ে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ আরও বেশি কার্যকর হবে।
প্রায় একবছর পরে অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির এ সভায় বিভাগীয় কমিশনার মান্নান বলেন, মহানগরী ও আশপাশের পাহাড়ের পাদদেশে যেসব মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে তারাই প্রতিবার দুর্যোগের মুখে পড়ছে। পাহাড়ধসে প্রাণহানি যাতে না ঘটে সেজন্য বর্ষা মৌসুমের আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে যারা অবৈধভাবে বাস করছে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ না দিতে, পানি সরবরাহ না করতে এবং গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রতি বছরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পরে তারা এসে ফের বসতি করছে। যাদের উচ্ছেদ করা হয় তাদের অধিকাংশই ভাড়াটিয়া উল্লেখ করে তিনি এর স্থায়ী সমাধান দরকার বলে মন্তব্য করেন।
সভার শুরুতে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন গত সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন। গত বছরের ১০ জুলাই পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভায় বলা হয় মহানগর ও জেলা মিলিয়ে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৬৮৪টি পরিবার বসবাস করছে। এসব পাহাড়ের অধিকাংশের মালিক রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, গণপূর্ত বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বনবিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
সভায় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ওমর ফারুক, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ গত ১০ এপ্রিল পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে ফিরে আসেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন