রাউজানে গত মঙ্গলবারের বন্যায় আবারো সর্তা ও ডাবুয়া খালের বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন ভাবে ভেঙ্গে হুমকীর মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। সরেজমিন দেখা গেছে, মঙ্গলবারের বন্যায় নতুনভাবে সর্তাখালের বিভিন্ন অংশের বাঁধ ও পাড় ভেঙ্গে পড়ছে। হলদিয়া থেকে শুরু করে সর্বশেষ পশ্চিম গহিরা পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে সর্তাখালের পাড় ভেঙ্গে ভেঙ্গে খালেপড়ে প্রতিনিয়ত খালের পরিধি বাড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমি। চিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে বাপ-দাদার পুরনো রেখে যাওয়া ভিটে বাড়ি। স্থানীয়রা জানান,ত খালের পানি কমতে শুরু করলে খড়স্রোত সর্তাখালের দু-সাইডে ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গতে শুরু করে। এতে করে কৃষি,ফসলি,বসতঘর ঘিলে খায় সর্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সর্তাখালের বিভিন্ন অংশে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে ভাঙ্গনের ভয়াবহতা চিত্র দেখা যায়। বিশেষ করে পশ্চিম ডাবুয়া জাকেরিয়া চৌধুরী বাড়ীর এলাকা ও উত্তরসর্তা অলির বাপের বাড়ীর চিত্রটি খুবই ভয়াবহ।অলির বাপের বাড়ীর ক্রীড়া সংগঠক মুহাম্মদ আলমগীর জানান, আমাদের বাড়ীতে সর্তার দুটি বড় ভাঙ্গাদিয়ে পানি ডুকে পড়ায় এবং মুহুর্তে মুহুর্তে খালের পাড় ভেঙ্গে পড়ায় আমাদের গোটা বাড়ী হুমকীর মুখে। তিনি জানান, তাদের বাড়ীর জামাল,কামাল প্রকাশ মনাইয়ে,মহিউদ্দিন প্রকাশ গুড়ামিয়া মিস্ত্রী,রিনু আকতার, আবুল হাসেম,গোলাফুর রহমান,হানিফ,নেজাম ও হারুনের বসতঘর হুমকীর মুখে।স্থানীয় কামাল প্রকাশ মনাইয়া বলেন, আমার বসত ঘরটি সর্তাখাল গিলে খেতে আর ২/৪ হাত বাকী আছে।এরপর ঘরবাড়ী যাইবু খালর ভিতুর,কেন গইজ্জুম নজানি,আরাঁ গরিব মানুষ,ডর ডর লাগের,পানির শুঁ-শুঁ আওয়াজ গইরলি ডরে বুক কাঁপে।তিনি বলেন দু-চার হাত বাকী আছে আর,এরপর বাড়ী ঘর যাবে খালের ভিতর,কি করব আমরা গরিব মানুষ,পানির আওয়াজে ভয় ভয় লাগে,বুক কাঁপে। অন্যদিকে গিয়ে নতুন জায়গায় ক্রয় করে ভিটে বানানোর মত সে টাকা আমাদের নেই। পানির স্রোতে কামাল ও হারুনের মত অনেকের ঝালাধান ভেসে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন