কুমিল্লার তিতাসে সেচের অভাবে সহস্রাধিক একর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ৫টি ইরিগেশন প্রজেক্টের সহশ্রাধিক একর জমির সেচের অভাবে ও শ্রমিক খরচ বৃদ্ধির কারণে অনাবাদি রয়েছে। যার কারণে প্রতি বছরই বাড়ছে অনাবাদির জমির পরিমাণ।
সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাইঠা নদীতে শুকনা মৌসুমে পানি না থাকায় সেচের প্রকট সঙ্কট দেখা দেয়। এ ছাড়া বড় খাল ও ডাকাতিয়া খালটি প্রভাব শালীদের দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাঠ থেকে ফসল আনতে শ্রমিক খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় ফসলের দামের চাইতে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। এজন্য কৃষকরা চাষাবাদের প্রতি অনাগ্রহ হয়ে পড়েছে। কৃষকদের দাবি মাইঠা নদী খননসহ দুইটি খাল দখল মুক্ত করে খনন করলে কৃষকরা আবারও চাষাবাদ করতে আগ্রহ পাবে এবং শ্রমিক খরচ ও সেচ খরচ অনেকটা সাশ্রয় হবে।
শাহপুর উত্তরপাড়া স্কিম ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন জানান, মাইঠা নদী খননের জন্য বিএটিসি প্রকৌশলী ফয়সাল কিছুদিন আগে পরিদর্শন করে গেছেন। এর আগেও এলজিইডি আঁগারাও প্রকল্প পরিচালক জলিল, প্লানিং অফিসার মিজানুর রহমান ও প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বদর উদ্দিন সরেজমিনে কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আর্কষণ করে তিনি বলেন, কৃষককে ফসল আবাদি করতে আমি এই স্কিমের উপর ৩ লাখ টাকা কৃষি লোন নিয়ে বিপাকে পড়েছি। কারণ কৃষকরা চাষাবাদ না করায় স্কিমটি চালাতে পারছি না এবং ঋণ দিতে পারছি না। বর্তমানে যদি ধান কাটার একটি হারবাল মেশিন ও চাষের জন্য একটি ট্রাকটর দেয়া হয় তাহলে কৃষকরা অনেকটা ফসলের প্রতিআগ্রহ বাড়বে এং শ্রমিক খরচ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি আমিও স্কিমটি চালু করতে পারব এবং আমার ঋণটিও পরিশোধ করতে পারবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন