বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভাঙন আতঙ্কে সাতক্ষীরা উপক‚লের হাজার হাজার মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাতক্ষীরা থেকে আবদুল ওয়াজেদ কচি : সাতক্ষীরায় উপক‚লজুড়ে ভাঙন আতংক দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ও সম্প্রতি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর বিভিন্ন অংশে এই ভাঙন দেখা দেয়। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আতংকে দিন কাটাচ্ছে উপক‚লের হাজার হাজার মানুষ।
এরমধ্যে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দূর্গাবাটি, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা, কামালকাটি, চরচন্ডিপুর, বন্যতলা, কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঝাঁপালি ও পূর্বকৈখালীর বেড়িবাঁধ যে কোন সময় ভেঙে প্লাবিত হতে পারে গোটা এলাকা।
খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার ৭৯৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ২১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাতক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর আজিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি নদীতে পানি বেড়েছে। কিন্তু বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র সময় কেউই রাতে ঘুমাতে পারেনি। বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে মাত্র দেড়-দু’হাত বাকি আছে। ভাঙলে সব শেষ হয়ে যাবে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নের পূর্বদূর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগ ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করা হলেও তা আশংকামুক্ত নয়।
শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়িগোয়ালিনীর পূর্বদূর্গাবাটিতে প্রায় ১২শ ফুট, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা, কামালকাটি, চরচন্ডিপুর, বন্যতলায় তিন হাজার ফুট, কাশিমাড়ী ইউপির ঝাঁপালিতে ৩৫০ ফুট ও পূর্ব কৈখালীতে ৩০০ ফুট বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর, গাবুরা ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া ও বড়দল ইউনিয়ন ঘিরে প্রবাহিত কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদী এবং দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা ও কোমরপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন জানান, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে উপক‚লীয় বাঁধ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই স্থায়ীভাবে সংস্কারের জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন