শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মানিকগঞ্জে আ.লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৫ নারী

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) থেকে মো. সোহেল রানা খান | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি আসনে এবার সরাসরি ভোটের চ্যালেঞ্জ নিতে দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন পাঁচ নারী। তাদের মধ্যে একজন নারী বিএনপি থেকে দুটি আসনে লড়তে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সরকারি দল আ.লীগে রয়েছেন একজন এমপিসহ দুইজন। আর বিএনপির রয়েছে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতিসহ আরো দুইজন।

নির্বাচনী আসন ১৬৮ মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর শিবালয় দৌলতপুর) যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৮৬ হাজার ৭০৪ জন। এই আসনটি মোট ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৩ জন। বাকি ভোটার পুরুষ। অর্থাৎ এই আসনে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার বেশি।

এই আসনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন কিনেছে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুন্নু গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা। রিতা ২০০৮ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ ২ (সিংগাইর মানিকগঞ্জ সদরের একাংশ ও হরিরামপুর) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নানের কাছে পরাজিত হয়।
এ ছাড়াও এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরেক নারী হলেন- মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন মহব্বতের স্ত্রী খোন্দকার আতিকা রহমান। আতিকা রহমান ছাত্রজীবনে ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এবং ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তিতে ঢাকা মহানগর মহিলা দলের দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে। বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সৈনিক হিসেবে আতিকা রহমানের দলের মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আবার জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বিএনপির মনোনয়ন কিনেছেন ১৭০ মানিকগঞ্জ-৩ (সদর ও সাটুরিয়া) আসন থেকে।

উল্লেখ্য, জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার বাবা প্রয়াত হারুনার রশিদ মুন্নু বিএনপির টিকিটে নিয়ে মানিকগঞ্জ-২ ও ৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দফতরবিহীন মন্ত্রীও হন।

এদিকে, নির্বাচনী আসন ১৬৯ এ মানিকগঞ্জ ২ (সিংগাইর মানিকগঞ্জ সদরের একাংশ ও হরিরামপুর) আসনের বর্তমান এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এবারো মনোনয়ন পত্র কিনেছে মনোনয়নের আশায়। নির্বাচন অফিসের তথ্য মোতাবেক এই আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা চার লাখ ছয় হাজার ১৬২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি। এ আসনে নারী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ তিন হাজার ৯৮১ জন। নবম জাতীয় সংসদে অবশ্য সংরক্ষিত নারী কোটায় সংসদ সদস্য ছিলেন মমতাজ বেগম। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আ. লীগের টিকিটে নির্বাচিত হন। সিংগাইর উপজেলা আ. লীগের সভাপতি মমতাজ।

অপর দিকে, ১৭০ মানিকগঞ্জ ৩ (মানিকগঞ্জ সাটুরিয়ার) নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, এই আসনে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ১৯ হাজার ২৯৩ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৬১ হাজার ২৯৫ জন। এই আসনেও পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার তিন হাজার ২৯৭ জন বেশি। এই আসনে নারী মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা তিনজন। এর মধ্যে আ. লীগ থেকে হচ্ছে, জেলা মহিলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষী চ্যাটার্জি।

ছাত্রী জীবনে মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
এই আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী হচ্ছে, ছাত্রদলে এক সময়ের তুখোড় নেত্রী রোকসানা খানম মিতু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অন্যতম নেত্রী ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে ওঁৎপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি সব সময় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md Sajedul Isalm ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:২৪ পিএম says : 0
মানিকগঞ্জ-১ আসনে আফরোজা খান রিতা আপুকে চাই।।।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন