বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এম এ হান্নান জেলা রির্টানিং অফিস থেকে প্রতীক পাওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে শো-ডাউনকালে পুলিশের সাথে মুখমুখি সংর্ঘষ ঘটে। এই সময় পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। পুলিশ আরিফ হোসেন ও ইমাম হোসেন নামে ২জনকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে লাঠিচার্জ ও ৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সোমবার বিএনপি প্রার্থী এম এ হান্নান প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে শোডাউনের জন্য স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে সমবেত হয়। পরে বিএনপি প্রার্থী এম এ হান্নানের নেতৃত্বে ধানের শীষের একটি বিশাল মিছিল উপজেলা সদরে মিছিল করার সময়ে মধ্য বাজারে পুলিশ প্রথমে বাঁধা প্রদান ও পরে লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় পুরো এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। মূর্হূতের মধ্যে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের হামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. ইউনুছ, পৌর বিএনপির সম্পাদক আমানত গাজী, যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আমির বেপারী, শ্রমিক দলের সভাপতি আজিম খাঁ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা বেগমসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে।
পুলিশের হামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. ইউনুছ, পৌর বিএনপির সম্পাদক আমানত গাজী, যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আমির বেপারী, শ্রমিক দলের সভাপতি আজিম খাঁ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা বেগমসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। অন্যদিকে বিএনপির কর্মীদের হামলায় পুলিশের এস আই ওমর ফারুক, সুমন্ত মজুমদার, সাজু বড়–য়া, গোলাম রসুল, আবুল কালাম আহত হয়েছে।
এদিকে বিএনপি প্রার্থী এম এ হান্নান সন্ধ্যায় পুলিশ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় তিনি ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং ফরিদগঞ্জ থানা ওসির প্রত্যাহার দাবি করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর আমার দলের নেতাকর্মীদে নিয়ে ফরিদগঞ্জ বাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোন কারণ ছাড়াই আমার নেতা-কর্মীদের উপর নির্মম হামলা চালায়। তাদের হামলা আমাদের দলের সেক্রেটারিসহ কমপক্ষে ৩০/৪০ জন আহত হয়। আমি হামলা জন্য পুলিশকে দায়ী করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন