একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রায় সব দলই দুই সারিতে দাঁড়িয়ে গেছেন। একটি সারি আ.লীগকে ঘিরে মহাজোট। অন্যটি বিএনপিকে ঘিরে ঐক্যফ্রন্ট। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে লড়ছেন সাত প্রার্থী। তারা হলেন- বিএনপি ধানের শীষ নিয়ে এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, আ.লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. শাহে আলম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা নিয়ে মো. নেছার উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীক নিয়ে মো. শাহেব আলী রনি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে মো. জহিরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে মো. আনিচুজ্জামান।
বরিশাল-২ আসনে ইউনিয়ন ১৭টি, ভোটকেন্দ্র ১৩৬টি, ভোটকক্ষ ৬৮৫টি, ভোটার সংখ্যা তিন লাখ দুই হাজার ৬৪৪টি। মহিলা ভোটার এক লাখ ৪৯ হাজার ১৩৮টি। পুরুষ এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৬টি। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে এ সমস্ত প্রতীক নিয়ে ৩৮২.৩০ বর্গকিলোমিটার চষে বেড়াচ্ছেন। প্রার্থীকে ভোট দিলে উন্নয়নমূলক কাজ হবে, থাকা যাবে নিরাপদে। আবার এ আশঙ্কাও করছেন যে, শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে পারবেন কি?
প্রচলিত আছে এই আসনটি বিএনপির। তবে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের দখলে যায় এই আসনটি। কাজীর গরু কাগজে আছে গোয়ালে নেই। বিএনপির অর্ন্তদ্ব›দ্ব ও বর্তমান প্রেক্ষাপট পরিবর্তন না হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। আর আ.লীগের বিজয় হবে নিশ্চিত। ইতোমধ্যে বিএনপির হেভিওয়েট অনেক নেতাই যোগ দিয়েছেন আ.লীগে।
অপর দিকে, কৌশলী রাজনৈতিক নেতা আ.লীগের সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবাল নেতাকর্মীদের নিয়ে আ.লীগের ঘরে এই আসনটি তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
১০ বছর পর দেশে শুরু হচ্ছে ভোটযুদ্ধ, তবে ভোটারদের মধ্যে আনন্দের কোনো ছাপ দেখা যাচ্ছে না। সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মধ্যে কারণে-অকারণে গ্রেফতার আতঙ্কেরও কমতি নেই। এই আসনটি ঘিরে সাতজন প্রার্থী থাকলেও মাঠে আ.লীগ ও বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রচার-প্রচারণা তেমন দেখা যাচ্ছে না। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দু’দলের মধ্যেই জয়-পরাজয় নিয়ে লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আসনটির সর্বস্তরের জনগণের দাবি- সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন