যশোর জেলার মোট ৬টি আসনে ভোটের ময়দানে আছেন মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকরা। মাঠে নেমেছেন কোমর বেঁধে। সেনাবাহিনী নামার পর গতকাল সোমবার ভোটের মাঠের চেহারা অনেটাই পাল্টে গেছে। ভোটাররাও বেশ নড়েচড়ে বসেছেন। জেলায় মোট ৩৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বণ্দ্বিতা করছেন। কিন্তু মূল প্রতিদ্ব›িদ্ব হবে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে। জেলায় মোট ২০ লাখ ৯১ হাজার ৪শ’ ৩ জন ভোটার। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ নতুন ভোটার।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় পুরুষ-১০ লাখ ৪৮ হাজার ৭শ’ ৪৩ জন ও মহিলা ১০ লাখ ৪২ হাজার ৬শ’ ৬০ জন ভোটার। ভোট কেন্দ্র ৭শ’ ৯৯ টি ও ভোটকক্ষ ৪ হাজার ১শ’ ১৮টি।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে মহাজোটের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দীন ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মহাজোটের মেজর জেনারেল (অব.) নাছির উদ্দিন ও ঐক্যফ্রন্টের আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন, যশোর-৩ (সদর) আসনে মহাজোটের কাজী নাবিল আহমেদ ও ঐক্যফ্রন্টের অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে মহাজোটের রণজিত কুমার রায় ও ঐক্যফ্রন্টের ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে মহাজোটের স্বপন ভট্টাচার্য ও ঐক্যফ্রন্টের মুফতি ওয়াক্কাস এবং যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মহাজোটের ইসমাত আরা সাদেক ও ঐক্যফ্রন্টের আবুল হোসেন আজাদের মধ্যেই লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে।
যশোর জেলা জুড়ে দিনরাত সমানতালে চলছে প্রচার-প্রচারণা। চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা অলিগলি। প্রার্থীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন, দোয়া চাচ্ছেন, দিচ্ছেন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি। কেউ সাড়া পাচ্ছেন, কেউবা পাচ্ছেন না। কয়েকদিন ধরে ভোটের ময়দানে একতরফা ব্যাটিং চলছিল, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কোন পক্ষই মাঠ ছাড়তে রাজি নয়। ভোটের দিন কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, তবে আভাস পাওয়া গেছে তরুণ ও মহিলা ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ঘটবে। তাদের ভেতর দেখা গেছে, জাতীয় এই নির্বাচনটিতে প্রচণ্ড আগ্রহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন