শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আ.লীগ-বিএনপি তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতার সম্ভাবনা

মাদারীপুর ৩ আসন

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আ.লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত মাদারীপুর-৩ (সদরের আংশিক-কালকিনি-ডাসার) আসনের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মাঠ-ঘাট ও পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে চষে বেড়াচ্ছেনা প্রার্থীরা। মাদারীপুর-৩ আসনে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে আ.লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সাথে তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ভোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে বলে এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

মাদারীপুরে সদর ও কালকিনি এ আসনটিতে ১৯৯৬ থেকে টানা চার মেয়াদে এমপি ছিলেন আ.লীগ নেতা সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। এরপর ৫ জানুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচনে সুযোগ নেন কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম। বিনাভোটে এমপি হওয়ার পর বাহাউদ্দিন নাসিম এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে হাত দেন। উন্নয়নও করেছেন বেশ কিছু। ভেবেছিলেন এবার তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতার ভোটে অংশ নিয়ে ভোটযুদ্ধের প্রার্থী হবেন। যেমনটি ইতোপূবে হয়েছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এমপি থাকাকালে সেও বেশ কিছু উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি হবার পর কালিকিনিতে আ.লীগের দু’টি গ্রæপ তৈরি হয়। সেই সুত্র ধরে কালিকিনি উপজেলা আ.লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রক্তাক্ত সংর্ঘষের পথে নামে।

দলীয় কোন্দল ও বির্তকের মধ্যে এ দু’জনের যেকোন একজনকে মনোনয়ন দিলে আ.লীগের ভোট ব্যাংকের এ আসনটি জয়লাভে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এ আশঙ্কায় ক্লিন ইমেজের আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক ডা. সোবাহান গোলাপকে দলীয় হাইকমান্ড দলের টিকেট প্রদান করেছেন। তিনি দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও নিজ এলাকায় তার জনপ্রিয়তা নেই। যে কারনে মাঠ পর্যায়ে ভোটাররা তাকে কম চেনে। সোবাহান গোলাপ নিজেই নির্বাচনী প্রচারনা ক্ষেত্রে বলেন থাকেন আমাকে না চিনলেও নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দিলে আমি পেয়ে যাব। নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগ এ প্রার্থী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন নিয়মিত। ৩০ ডিসেম্বর এ নতুন প্রার্থীর অগ্নিপরীক্ষা।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে এবার আনিসুর রহমান খোকন তালুকদারকে নতুন প্রার্থী দিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। কেন্দ্রীয় বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার বিএনপি টিকেট নিয়ে এ আসনে প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছে। তিনি কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে এলাকায় এসে নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছেন। তার সাথে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তিনি কালকিনির প্রতিটি মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির এই জনপ্রিয় নেতা কালকিনি তথা মাদারীপুর-০৩ আসনে তৃণম‚ল নেতাকর্মী ও তরুণদের প্রিয় হয়ে সর্বত্রই সে বিচরণ করছেন। ইতোপূর্বে বিএনপির পক্ষ থেকে যে প্রার্থী দেয়া হতো তারা প্রতিপক্ষের সাথে অনৈতিক যোগাযোগ করে ব্যক্তিগত সুবিধা লাভ করার দলীয় হাইকমান্ড এবার নতুন মুখকে প্রার্থী করেছেন। ব্যক্তি ইমেজে খোকন তালুকদার আ.লীগ প্রার্থীর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। তাছাড়া বিগত ১০ বছরে বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডের ইতিহাস তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হবার জন্য প্রচারনা করছেন। বিএনপির খোকন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন তার নির্বাচনী প্রচারনা বিভিন্ন রকম বাধা প্রদান করা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাতে ভয় করছে। বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অহেতুক মামলায়। ভোট শান্তিপূর্ণহলে তিনি বিজয় লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন