একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৩দিন আগে ক্রাইসিস লিডার হিসেবে খ্যাত সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদকে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জেবিত হয়ে ওঠেছেন।
তফসিল ঘোষনার পর এ আসনে লায়ন হারুনের বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি বিএনপিসহ সাধারণ জনগণের কাছে অবিশ্বাস্যই মনে হচ্ছিল।
লায়ন হারুনুর রশিদ ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির রাজস্ব ও ব্যাংকিং বিষয়ক সম্পাদক। তাকে বিএনপির ক্রাইসিস সময়কার এমপি বলা হয়। অর্থাৎ ওয়ান ইলেভেন ছিলো বিএনপির জন্যে মহাদুর্যোগকাল। ঐ দুর্যোগ সময়ের পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র একটি আসনে বিজয়ী হয়। আর সে আসনটিই হচ্ছে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ)। পুরো জেলার একমাত্র বিজয়ী এ আসনের এমপি ছিলেন লায়ন হারুনুর রশিদ।
সে সময়ে দেশে বিএনপির মাত্র দুই ডজন এমপির মধ্যে লায়ন হারুন ছিলেন একজন। সে কারনে অন্য এমপিদের সাথে বিএনপিতে তার গুরুত্বটাই ছিলো অন্যরকম। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ক্রাইসিস লিডার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশিদ নিজ আসনেই এবার দলের মনোনয়ন পাওয়া একাধিকজনের মধ্যে ঠাঁই পাননি। এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় অঘটন বলে মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অথচ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাকে বাদ দিয়ে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ঋণখেলাপির কারণে সেই বিএনপি প্রার্থী এম এ হান্নানের প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে যায়। ফলে ফরিদগঞ্জে প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ে বিএনপি। এমতাবস্থায়, কেন্দ্রীয় বিএনপি বাধ্য হয়েই নির্বাচনের মাত্র ৩দিন আগে লায়ন হারুনুর রশিদকে শূন্য আসনে মনোনয়ন দেয়।
মাত্র ৩দিন আগে লায়ন হারুনুর রশিদ ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ায় উজ্জেবিত বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘর থেকে বের আসছেন। মাসাধিকাল ধরে অভিভাবকহীন বিএনপিতে যেনো প্রান ফিরে এসেছে। তাদের বিশ্বাস বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ফরিদগঞ্জের আসন তারা ফিরে পাবে। সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন