শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

উপ সম্পাদকীয়

আমার দেখা সেরা সমাজসচেতন আধ্যাত্মিক পুরুষ

উপ-সম্পাদকীয়

| প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এ এম এম বাহাউদ্দীন : শতাব্দীর সাক্ষী ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) ছিলেন আমার দেখা সেরা রাজনীতি ও সমাজসচেতন পুরুষ। পারিবারিকভাবেই আমরা আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব পরিবেষ্টিত হয়ে বড় হয়েছি। পরম শ্রদ্ধেয় বুজুর্গানে দীনের মধ্যে কিছু ব্যক্তিত্ব আমার কাছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল মনে হয়েছে। যেমন ইবাদত-বন্দেগী, এলম-আমল, তাকওয়া-পরহেজগারী ও কষ্ট-সাধনার দেখা অনেকের মাঝেই পেয়েছি। কিন্তু সুদৃঢ় ঈমান, মুমিনের উচ্চতর নৈতিক শক্তি, তাগুতের বিরুদ্ধে খোদাপ্রেমিকদের অনন্ত লড়াই, উম্মাহ বনাম কুফুরী অপশক্তির চিরন্তন সংঘাত প্রভৃতি বিষয়ে পূর্ণ সচেতন সাহসী সাধক ব্যক্তি কমই দেখেছি।
সিলেটের হযরতুল আল্লামা মাওলানা আব্দুল লতীফ চৌধুরী ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী ১৯১৩ সালে জকিগঞ্জ থানার ফুলতলী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ কামাল (রহ.)-এর অধস্তন পুরুষ হযরত আলা বখশ (রহ.)-এর অধস্তন বংশধর। ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত তাহাজ্জুদের সময় শহরের সোবহানীঘাটস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল পর্যন্ত তার সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনটি ছিল অনন্য ও বর্ণাঢ্য। তিনি বৃটিশ ভারতে অসাধারণ প্রতিভাধর ছাত্র হিসেবে বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠানে যুগশ্রেষ্ঠ উস্তাদগণের নিকট ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করেন। ইলমে কেরাতের উপর তার বহুমাত্রিক বুৎপত্তি ছিল উল্লেখ করার মতো। ছাত্রজীবন শেষে তিনি এলমে কেরাত প্রসার ও উচ্চতর দীনি শিক্ষা প্রদানে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু তার জীবনে আধ্যাত্মিক প্রেরণা ও দিগি¦জয়ী রূহানী শক্তি তাকে অনন্য বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল করে তোলে। মাদরাসার সুযোগ্য উস্তাদ ভাইস প্রিন্সিপাল ও প্রিন্সিপাল ইত্যাদি পরিচয় ছাপিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন ফুলতলীর পীর ছাহেব কিবলাহ। তার প্রিয় এক কবিতায় তার জীবনাদর্শ স্পষ্ট হয়ে ওঠে,
তাসাওফ বজুয খেদমতে খালকে নিস্ত। বসাজ্জাদা তাসবীহ ওয়া দালকে নিস্ত।
অর্থাৎ মানুষের কল্যাণ ও সৃষ্টির সেবা ছাড়া তাসাওউফ কিছুই নয়। শুধু জায়নামাজ, তসবীহ ও খিরকার নাম তাসাওউফ নয়।
তিনি তার স্বদেশকে শিরক-কুফর-কুসংস্কার ও অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে আলোকময় উন্নত মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তার জীবনের শেষ বেলায় দেশ ও জাতির নানা কল্যাণময় কাজে আমাদের এক সাথে ভূমিকা রাখতে হয়েছে। সেসময় অন্য অনেক বুজুর্গকে দেখেছি এলম, আমল জিকির ও সাধনায় অনেক অগ্রসর হলেও কওম ও মিল্লাতের বৃহত্তর স্বার্থে তাদের অবদান তেমন স্পষ্ট নয়। তারা আধ্যাত্মিক সাধক বটে তবে বৃহত্তর দ্বীনি রাজনীতি-সচেতন নন। জাতির দিকনির্দেশক বটে তবে সমাজসচেতন নন। এ ক্ষেত্রে ছাহেব কিবলা ফুলতলী ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন মহান আধ্যাত্মিক পুরুষ।
সমাজসেবায় তার অপরিসীম অবদানের কথা যুগ যুগ ধরে মানুষ স্মরণ রাখবে। তিনি সমাজ ও মানবকল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট, লতিফিয়া এতিমখানা, বাদে দেওরাইল ফুলতলী আলিয়া মাদরাসা, হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা, লতিফিয়া কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ আঞ্জুুমানে মাদারিসে আরাবিয়া, বাংলাদেশ আঞ্জুুমানে আল-ইসলাহ, লতিফিয়া ক্বারি সোসাইটি, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়া, ইয়াকুবিয়া হিফযুল কোরআন বোর্ড, মুসলিম হ্যান্ডস বাংলাদেশ।
স্বদেশেই শুধু নয়, দূর প্রবাসে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে তোলেন কিছু প্রতিষ্ঠান। ইলমে কিরাত, ইলমে হাদীস, ইলমে তাসাওফসহ সব ধরনের খিদমত পরিচালনার জন্য তিনি বিদেশেও কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তন্মধ্যে দারুল হাদীস লতিফিয়া, আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউকে, লতিফিয়া উলামা সোসাইটি ইউকে, লতিফিয়া কারি সোসাইটি ইউকে, লতিফিয়া ফুলতলী কমপেক্স মিডল্যান্ড, সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ বার্মিংহাম ইউকে লিমিটেড, দারুল হাদিস লতিফিয়া মাদরাসা, ওল্ডহাম, ফুলতলী ইসলামিক সেন্টার কভেন্ট্রি ইউকে, আল ইসলাহ ইয়ুথ ফোরাম, লন্ডন কিরাত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আল মজিদিয়া ইভনিং মাদরাসা, লতিফিয়া গার্লস স্কুলসহ বহু মসজিদ মাদরাসা উল্লেখযোগ্য। আমেরিকায় তার নির্দেশনা ও দোয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার। এর আওতায় আল ইসলাহ মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমেরিকায় এ মসজিদটিতে আদালতের রায় ও এলাকাবাসীর প্রকাশ্য ভোটের মাধ্যমে মাইকে আযান চালু করা হয়। ২০০১ সালে তার দোয়া ও নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠিত হয় নিইউয়র্ক সিটি হাফেজিয়া মাদরাসা। পরবর্তীতে এর নাম রাখা হয় নিউইয়র্ক সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা। ২০০৯ সালে নিউজার্সিতে শুরু হয় শাহজালাল লতিফিয়া মাদরাসা। এ ছাড়াও আমেরিকায় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলীর ভক্ত-মুরিদদের প্রচেষ্টায় বহুসংখ্যক মসজিদ, মাদরাসা ও ইসলামিক সেন্টার স্থাপিত হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তানসহ গোটা উপমহাদেশেও তার ভক্তদের দ্বারা অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং প্রচুর ধর্মীয় খিদমত হচ্ছে।
হযরত ছাহেব কিবলার সাথে আমার বহু স্মৃতি এমন রয়েছে যেসব আজো আমার চলার পথে পাথেয় হয়ে আছে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথে যখন আকস্মিক বাধা-বিপত্তি এসে দাঁড়িয়েছে তখন তার কাছ থেকে আমরা শক্তি পেয়েছি, সাহস পেয়েছি। মনে পড়ে ঐতিহাসিক লংমার্চের কথা, যখন সিলেট থেকে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী সিংহের মতই গর্জে উঠেছিলেন, ছুটে এসেছিলেন রাজধানীর দিকে। সে দিনগুলোর কথা মনে হলে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ও মাওলানা কবি রূহুল আমীন খানের সংগ্রামী ভূমিকার কথাও স্বভাবতই মনে পড়ে যায়। নবতিপর এই সুদর্শন সিদ্ধপুরুষকে সঙ্গে করে আমাদের ছুটোছুটি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনা, মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস, বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ, ঐতিহাসিক লংমার্চ ইত্যাদির স্মৃতি জীবনের বড় অর্জন হয়ে রয়ে গেছে।
দ্বীনের উপর আঘাত এলে ছাহেব কিবলা ফুলতলী তা সহ্য করতেন না। বিরোধী পক্ষে যেই থাকুক তাকে পরোয়া করতেন না। বড় বড় শাসক ও স্বৈরশক্তিকেও তিনি হিসাবে আনতেন না। কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করতেন না। ইসলামের স্বার্থে তিনি ছিলেন নির্ভীক। সত্য উচ্চারণে কখনো পিছপা হননি। খোদায়ী সাহায্যে বলীয়ান এ আধ্যাত্মিক শক্তিমান বীরপুরুষ ছিলেন হকের কণ্ঠস্বর। তিনি কেবল প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠনই স্থাপন করে যাননি, একদল কর্মবীর সৈনিকও তৈরি করে গেছেন, যারা আজ তার অবর্তমানেও বিশ্বের নানা প্রান্তে তার মিশনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। দক্ষ, যোগ্য ও সৎ নেতৃত্ব তৈরি করে মানবতার সেবায় ধর্ম-সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আত্মশুদ্ধির অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান অবদানের পথ রচনা করে গেছেন। পীর-মাশায়েখ ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিগণের এ বরকতময় আদর্শ অনুসরণ করা উচিত। নবী করিম (সা.)-এর জীবনেও মানুষ তৈরির এ দৃষ্টান্ত বিশ্বময় আউলিয়াদের অনুসরণীয়। ইসলামে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তৈরির গুরুত্ব সমানভাবেই আলোচিত ও প্রশংসিত।
হযরত ছাহেব কিবলার পরিবারবর্গের সাথে আমার আন্তরিকতা শুধু নয় আত্মার সম্পর্ক। বর্তমান সাজ্জাদানশীন ছাহেব কিবলাহ মাওলানা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, নজমুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী প্রমুখের সাথে যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান তা যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণ হয়, মহান আল্লাহর কাছে সে দোয়াই করি। ছাহেব কিবলাহ ফুলতলীর পৌত্র নবীন ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী শাহান আমাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক রূপে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত এ সিলসিলারই ফয়জ ও বরকতের নমুনা। ফুলতলীর এক আস্থাভাজন কণ্ঠস্বর হাফিয সাব্বির আহমদ ছাহেব কিবলার রূহানী তাওয়াজ্জুহপ্রাপ্ত ব্যক্তি। বহুমুখী খিদমত ও অনন্য দ্বীনি কার্যক্রমের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে অগ্রসর হচ্ছেন। আল্লাহ তাকে আরও সমৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা দান করুন। তার আগ্রহেই আমি শত ব্যস্ততার ভেতরেও দুয়েকটি কথা লিখতে সক্ষম হয়েছি।
অবশ্য ছাহেব কিবলা ফুলতলী সম্পর্কে বলার ও লেখার হাজারো কথা এমন রয়েছে যা দিয়ে বড় বড় গ্রন্থ ও সংকলন তৈরি হতে পারে। আমার নিজের মনেও শত কথা এমন আছে যা লিখলে বিশাল পুস্তক রচিত হবে। তবে এসব মনীষীর কীর্তি ও অবদান লেখক বা ঐতিহাসিকের হাতের কাগজ-কলমের চেয়ে তাদের রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, ছাত্র, ভক্ত, মুরিদ ও বহুমুখী সেবার মধ্য দিয়েই অধিক সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী রূপে রচিত হয়ে থাকে। তাদের পরিবার, সিলসিলা ও রূহানী ফয়েজ ও বরকতের অফুরান ধারার মাধ্যমেই তারা কিয়ামত পর্যন্ত আলোচিত, স্মরণীয় ও অমর হয়ে থাকেন। পরলোকে তারা তাদের নিষ্ঠা, খোদাপ্রেম, ইলমী অবদান, নেক সন্তান ও সদকায়ে জারিয়ার অব্যাহত সওয়াবের বন্যায় আপ্লুত হবেন, আল্লাহর ওলীদের এখানেই বড় সফলতা। আমরা তাদের ভালবাসি এ পরিচয়টুকু নিয়েই আশার বুক বেঁধে আছি ইহ পরকালীন শান্তি, সম্মান ও মুক্তির দিশা পাব বলে। আমি এই ওলীয়ে কামেলের খাস দোয়া ও তাওয়াজ্জুহ পেয়েছি বলেই হৃদয়ে নিশ্চিন্ত প্রতীতি নিয়ে নানা ঝড়ঝাপটা মোকাবেলা করেও চলমান দিনগুলো গুজরান করতে পারছি। এক আধ্যাত্মিক শক্তিমান সুফি কবির ভাষায় :
ফুলের পাপড়িকে বিছানা হিসাবে পেয়েও ফুলের সুবাস থাকতে পারেনি,
বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। ওরা কত নাজুক।
আর আমি তো কাঁটায় বসেই জীবন কাটালাম,
আমি বিক্ষিপ্ত হইনি,
লাল গোলাপের মত স্থির নিষ্কম্প অচঞ্চল আমি।
নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের দৃষ্টি আছে
আমার প্রতি। সুবাসেরা লালিত হোক, বসত করুক আমার বুকে।
আমি কাঁটার বুকেই জীবন কাটাতে যেন পারি
লাল গোলাপের মত।
মনে পড়ছে, নিজ মৃত্যুশয্যায় সম্ভবত শেষ উক্তির মতই শেষ বিদায়ের দু’তিনদিন আগে তিনি আমাকে টেলিফোনে বলেছিলেন, ‘এগিয়ে যাও, তোমার কোন বিপদ হবে না, কেউ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’ এ কথাগুলো শত বিপদসংকুল সময়েও অভয় হয়ে আমার হৃদয়ে বাজে। আমি শক্তি ও সান্ত¡না খুঁজে পাই। আমাদের সবাইকে তার ঈমান ও চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে, যারা দ্বীনি কাজে নিরত। পীর-আউলিয়া, উলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সকলকেই ঈমান, আমল, আখলাক, যিকির ও শোগলের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতন হতে হবে। আমাদের সবকিছুই হতে হবে আল্লাহর জন্য। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। আল্লাহর জন্য ভালোবাসা, আল্লাহর জন্য সংঘাত, আল্লাহর জন্য প্রেম, আল্লাহর জন্য ঘৃণা, আল্লাহর জন্য শান্তি, আল্লাহর জন্য যুদ্ধ, আল্লাহর প্রতি ঈমান আর তাগুতের প্রতি অবিশ্বাস ও দ্রোহ। এ পার্থক্য বুঝে, হিসাব করে, সতর্কতার সাথে চলতে হবে। এ ফুরকান বা পার্থক্যবোধ ছাহেব কিবলা ফুলতলীর মাঝে শতভাগ বিদ্যমান ছিল। এ ঈমানী চেতনা ও হক-বাতিলের পার্থক্যবোধ বর্তমানে যুগে খুবই বিরল। বহু পীর-মাশায়েখ ও আলেম-উলামার ভেতরও এ সচেতনতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন এবং ফিতনার যুগেও নিষ্কলুষ সত্যের উপর দৃঢ়পদ রাখুন। আমীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (25)
Salim ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৪৭ এএম says : 0
এই সুন্দর লেখাটির জন্য দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবকে অসংখ্য মোবারকবাদ জানাই।
Total Reply(1)
Fatema ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:০০ পিএম says : 4
apner moto valo manusra e takey nea ato sundhor kore likhte paren.
Rifat ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৪৮ এএম says : 0
Yes, you are right.
Total Reply(0)
Fazlul Haque ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৫০ এএম says : 0
পীর-আউলিয়া, উলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সকলকেই ঈমান, আমল, আখলাক, যিকির ও শোগলের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতন হতে হবে।
Total Reply(0)
মো. মহিউদ্দিন ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৩:০০ এএম says : 0
শতাব্দিতে এমন মানুষ খুব কমই মিলে।
Total Reply(0)
বিপ্লব ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৩:০১ এএম says : 0
আমাদের সকলের উচিত জীবিত আলেমদেরকে বেশি বেশি কদর করা।
Total Reply(1)
Zahir ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:০১ পিএম says : 4
thik bolesen. kintu akhon amra seta e korsi na.
আমিনুল ইসলাম ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৩:০২ এএম says : 0
আমাদের সবকিছুই হতে হবে আল্লাহর জন্য। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। সেটাই আমাদের কাজে আসবে , অন্য কিছু নয়।
Total Reply(0)
Farjana ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:১৩ পিএম says : 0
আল্লামা ফুলতলী (র.)কে মানুষ ভালোবাসতো দ্বীনের কারণেই। এ ভালোবাসা ছিল সবধরনের লাভ-লোভের ঊর্ধ্বে।
Total Reply(0)
ফিরোজ খান ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:১৪ পিএম says : 0
মানুষ যার কাছ থেকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের সহীহ দিকদর্শন লাভ করে তাকেও অধিক শ্রদ্ধা-মহব্বত করে। তেমন একজন মহান মানুষ আল্লামা ফুলতলী (র.)।
Total Reply(0)
মামুন খান ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৩৭ পিএম says : 0
এই নিউজটির মাধ্যমে ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।
Total Reply(0)
রুবিনা ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৩৭ পিএম says : 0
ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) সম্পর্কে এই সুন্দর লেখার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযাহ দান করুক।
Total Reply(0)
মিলন খন্দকার ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৩৯ পিএম says : 0
আল্লামা ফুলতলী (র.) জীবন সংগ্রামে ছিলেন একজন সফল সৈনিক, ইসলামের খেদমতে ছিলেন নির্ভীক এবং খোদাভীরু।
Total Reply(0)
বুলবুল আহমেদ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৩৯ পিএম says : 0
পারিবারিক জীবনে থেকে শুরু করে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি সফলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
Total Reply(0)
মাহমুদা খানম ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৪৪ পিএম says : 0
ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে নিজ প্রচেষ্টা, কর্মদক্ষতা, প্রতিভা, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে সমাজের প্রতিটি স্তর আলোকিত করার চেষ্টা করেছেন এবং সফলও হয়েছেন।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৪৫ পিএম says : 0
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন এবং ফিতনার যুগেও নিষ্কলুষ সত্যের উপর দৃঢ়পদ রাখুন।
Total Reply(1)
Nahid ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫৮ পিএম says : 4
Amin Amin
রিপন ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৩৮ পিএম says : 0
আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক। আমিন
Total Reply(0)
শামীম ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৪০ পিএম says : 0
এই ধরনের মহান ব্যক্তি সম্পর্কে বেশি বেশি লিখুন। তাহলে আমাদের মাঝে ভালো এবং ইসলামের জন্য কাজের আগ্রহ তৈরি হবে।
Total Reply(0)
Nazir ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৪২ পিএম says : 0
Many many thanks to The Daily Inqilab for publishing those types of news.
Total Reply(0)
শারাফাত হোসাইন ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৪৬ পিএম says : 0
হাজারো ব্যস্ততার মাঝে ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.)কে নিয়ে এমন তথ্যবহুল প্রবন্ধটি লেখার জন্য এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেব অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযাহ দান করুক। আমিন।
Total Reply(0)
আবদুস সোবহান ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:৪৭ পিএম says : 0
দৈনিক ইনকিলাবের কাছ থেকে আমরা নিয়মিত এই ধরনের লেখাই প্রত্যাশা করি।
Total Reply(0)
তারেক মাহমুদ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৪:২০ পিএম says : 0
আপনাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে আজ আমরা ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি।
Total Reply(0)
শাহে আলম ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৪:২২ পিএম says : 0
আমাদের সকলের উচিত হুজুরের জন্য দোয় করা এবং বেশি বেশি নেক আমল করা।
Total Reply(0)
Anowar Hossain ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৪:২৪ পিএম says : 0
ঈমানী চেতনা ও হক-বাতিলের পার্থক্যবোধ বর্তমান যুগে খুবই বিরল।
Total Reply(0)
Salauddin ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:২৯ পিএম says : 0
akhon amader ke amader responsibility palon korte hobe
Total Reply(0)
সজিব ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩১ পিএম says : 0
বহু গুণে গুনান্নিত একজন মানুষ ছিলেন তিনি।
Total Reply(0)
Aminul Huda ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৯:৪১ পিএম says : 0
আল্লাহ্ আমাদের ছাহেব কিবলাহকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান কর। সম্পাদকীয় কলাম হিসেবে এ ধরণের একটি প্রবন্ধ নির্বাচনের জন্য ইনকিলাব সম্পাদককে জানাই সহস্র মোবারকবাদ ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন